কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন টিএনজেড গ্রুপের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে
কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন টিএনজেড গ্রুপের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

যমুনা অভিমুখে পোশাকশ্রমিকদের মিছিল, পুলিশের বাধা

বেতন ও বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। সেখানেই তাঁরা অবস্থান করছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে থেকে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যান। তাঁরা বেতনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

শ্রমিকেরা ‘যাব না রে, যাব না, বেতন ছাড়া যাব না’, ‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও’, ‘বাঁচার মতো বাঁচতে দাও, নইলে গদি ছাইড়া দাও’ স্লোগান দিচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যান পোশাকশ্রমিকেরা

১১ মে থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে আন্দোলন করছেন।

টিএনজেড গ্রুপের কারখানায় চার বছর ধরে অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন পোশাকশ্রমিক নাছিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘তিন মাসের বেতন বাকি আছে। ৯ দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে বসে ছিলাম। কেউ আমাদের দেখেওনি। আজ আমরা বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি।’

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যান পোশাকশ্রমিকেরা

টিএনজেড গ্রুপের বেতন বোনাসের দাবি আদায়ের শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৯ দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা আমাদের বিভিন্ন আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু বেতন বুঝিয়ে দিতে পারেননি। ফলে আজকে আমরা বাধ্য হয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের অভিমুখে এসেছি। বেতন নেওয়া ছাড়া আমরা এখান থেকে যাব না।’

শ্রমিকেরা বলছেন, টিএনজেড গ্রুপের কাছে তাঁদের পাওনা ৫৪ কোটি টাকা। ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রত্যেক শ্রমিক ৯ হাজার ১০০ টাকা পান। বাকি টাকা গত মাসের ৮ তারিখে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা টাকা পাননি।