বাংলাদেশ ব্যাংক-এবিবি-বাফেদা বৈঠক

রপ্তানি বিল দ্রুত নগদায়ন ও প্রবাসী আয়ে জোর দেওয়ার নির্দেশ

বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

ডলারের সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোকে কম মুনাফা করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য প্রতিযোগিতা করে বেশি দাম দিয়ে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না ধরার নির্দেশ দিয়েছে। এতে আমদানিতেও কমবে ডলারের দাম। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংকের অনিয়ম তুলে ধরে সতর্ক করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ডলারের বাজারে অস্থিশীলতা সৃষ্টি হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সংকট কাটাতে রপ্তানি বিল দ্রুত নগদায়ন ও প্রবাসী আয় জোরদার করতে বলা হয়েছে। ডলারের দাম আগের মতোই বাজার নির্ধারণ করবে বলে জানানো হয়।

আর ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, টাকা ও ডলারে হিসাব দ্রুত সমন্বয় করা। অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের বিদেশি ঋণকে দেশীয় টাকায় রূপান্তর করে হিসাব সমন্বয় করা ও ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণের সীমা কমিয়ে আনা। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঋণের সুদহার নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কারণ, ব্যাংকগুলো এখন ডলার বিক্রি না করে একে অপরকে ধার দিচ্ছে (সোয়াপ)।

ডলারের সংকট কাটাতে রোববার বিকেলে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিক কিছু নির্দেশনা দেয়। তবে ডলারের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী ছাইদুর রহমান, ব্যাংকগুলোর পক্ষে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন ডলারের মূল্য ৯২ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ডলারের মূল্য ৯৩ টাকার ওপরে যাবে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জানা যায়, বিলম্বে মূল্য পরিশোধের শর্তে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হ্রাসের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলারের দর আরও বাড়লে আমদানিকারককে যাতে বাড়তি অর্থ গুনতে না হয়, সে জন্য এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডলারের বাজার নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করার পরামর্শ দেওয়া হয়।