বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাশে নতুন রেলসেতু হচ্ছে

>

ক্রয় কমিটিতে সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা প্রণয়ন ও তদারকি কাজের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জাপানি কোম্পানিকে

বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ওপর চাপ কমাতে যমুনা নদীতে আলাদা একটা রেলসেতু করা হচ্ছে। এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু।

নতুন এ সেতুটি করার সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা প্রণয়ন ও তদারকির কাজ দেওয়া হয়েছে জাপানি কোম্পানি ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কনসালট্যান্টস লিমিটেডকে।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কলসালট্যান্টসের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস ও এসিই কনসালট্যান্ট নামের দুটি কোম্পানিও কাজ করবে। এ দফায় ব্যয় হবে ৭৯৫ কোটি টাকা। অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে এটা হবে শুধুই ট্রেন চলাচলের জন্য।’

গত ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঋণ দেবে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আর বাকি ২ হাজার ১০ কোটি টাকার সংস্থান করবে সরকার।

জানা গেছে, সেতুটি করার জন্য ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করা হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়ন করা হবে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা তথ্য (ডিপিপি) মতে, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের এ রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য আলাদা নদী শাসন করতে হবে না, জমি অধিগ্রহণেরও খুব বেশি দরকার পড়বে না। নতুন রেলপথে স্টিল ব্যবহার করা হবে। রেলপথের পাশাপাশি গ্যাস সঞ্চালন লাইনও নির্মাণ করা হবে।

এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজে ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধিসহ ক্রয় কমিটিতে মোট ১০টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এফ ব্লকে সীমিত আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য দুটি (৭ ও ৮) ১৬ তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও খুঁটি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় বৈঠকে।