অনেক ব্যাংক ভোক্তা ঋণ দিচ্ছে না। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো খেলাপি হওয়া ভোক্তা ঋণ অবলোপন করে ফেলছে। কারণ, এসব ঋণ অবলোপনের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ভোক্তা ঋণ কমে গেছে। তবে আমাদের মতো আরও কিছু ব্যাংক ভোক্তা ঋণে গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভোক্তা ঋণে আমাদের ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ডে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। এর ফলে এসব ঋণে আমাদের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকায়, যা দেশের ব্যাংক খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আমরা এখন ব্যক্তিগত ঋণে নজর বাড়িয়েছি। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের ঋণ দেওয়া বাড়িয়েছি। আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে যাঁদের বেতন হয়, তাঁরা এখন তাৎক্ষণিক ডিজিটাল ঋণ নিতে পারছেন। ইতিমধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ৪৫ হাজার গ্রাহক ডিজিটাল ঋণ নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এই ঋণ দেওয়া হতো। এটি এখন বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এসব ঋণে খেলাপির হার কম। মানুষ মূলত জীবনধারণ ও মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে থাকেন। সামনের বছর আমরা গাড়ি ও আবাসন ঋণ বিতরণে জোর দেব।
মাহীয়ুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্র্যাক ব্যাংক