বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় এই প্রথম সরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো–২০২৫ ঢাকা’। আগামী ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১ ডিসেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করার কথা। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা।
এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সোর্সিং এক্সপোর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরা ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করা এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রাণী কর্মকার ও মো. আকতার হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এক্সপোর লক্ষ্য, সার্বিক প্রস্তুতি, বিদেশিদের অংশগ্রহণ ও রপ্তানি খাতের সম্ভাবনা বাড়ানোর কৌশল তুলে ধরা হয়।
ইপিবি জানিয়েছে, সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত তুলে ধরা হবে। খাতগুলো হচ্ছে—তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
অন্যদিকে এবারের এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা ও চুক্তি করতে পারবে।
এ ছাড়া সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস–টু–বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং ডিনার ও ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন থাকে।
ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রপ্তানি খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরবে। এতে নতুন বাজার অনুসন্ধান, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক চুক্তি, ব্র্যান্ড অংশীদারত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইপিবির প্রত্যাশা, এই প্রদর্শনী দেশের রপ্তানি খাতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বাংলাদেশকে আরও নির্ভরযোগ্য সোর্সিং কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে প্রতিবছর এই সোর্সিং এক্সপো অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।