মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিয়ান গ্রুপ
মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক
আশিয়ান গ্রুপ

পরিকল্পিত নগরায়ণে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ

দেশের আবাসন ও ভূমি উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানিগুলো। এ খাতের অন্যতম বড় আয়োজন রিহ্যাব মেলায় এবার বিশেষ আকর্ষণ পরিকল্পিত শহর নিয়ে অংশ নিচ্ছে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। 

আশিয়ান গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি ‘আশিয়ান সিটি’ প্রকল্প নিয়ে মেলার গোল্ড স্পনসর হিসেবে ৮ নম্বর স্টলে অংশ নিয়েছে। মেলা উপলক্ষে বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকছে বিশেষ মূল্যছাড় ও আকর্ষণীয় উপহার।

২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করা আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও মানসম্মত আবাসন উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তাদের অন্যতম বৃহৎ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প ‘আশিয়ান সিটি’ গড়ে উঠছে প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপর। ইতিমধ্যে আমাদের প্রকল্পটির প্রায় ৭৫ শতাংশ উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পটির অবস্থান রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সঙ্গে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত আশিয়ান সিটি থেকে গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক ব্যবহার করে সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যেই পৌঁছানো সম্ভব। প্রকল্পটির ভেতরে বিশদ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী ২০০ ফুট, ১০০ ফুট ও ৮০ ফুট প্রশস্ত সড়ক রয়েছে, যা ভবিষ্যৎ নগর ব্যবস্থাপনায় বড় ভূমিকা রাখবে।

আশিয়ান সিটিতে আবাসিক প্লটের পাশাপাশি শিক্ষা ও সামাজিক অবকাঠামোর জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে ৩, ৫, ১০ ও ২০ কাঠার প্লটের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২ থেকে ১০ বিঘা পর্যন্ত জমি বরাদ্দ রয়েছে। প্রকল্পটি ফ্লাইং জোন ও ফ্লাড ফ্লো জোনের আওতামুক্ত হওয়ায় এটি নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

মূল্যকাঠামোর দিক থেকেও প্রকল্পটি বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতি কাঠা প্লটের মূল্য সর্বনিম্ন ৩০ লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। এককালীন পরিশোধের পাশাপাশি সহজ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগও রয়েছে।

আশিয়ান সিটির একটি প্রকল্প

বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ সুবিধা বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অধিকাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি কাজ চলমান। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, বাজার ও মসজিদের মতো মৌলিক নাগরিক সুবিধাও প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আশিয়ান ল্যান্ডস কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রাহকদের প্লট হস্তান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মোট প্লটের প্রায় ৪৫ শতাংশ বিক্রি হয়েছে। প্লটের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গেই ডেভেলপমেন্ট ও মিউটেশন প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করা হচ্ছে।

রিহ্যাব মেলা উপলক্ষে আশিয়ান সিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। মেলায় বুকিং দিলে থাকছে গোল্ড কয়েন উপহার। এ ছাড়া ডাউন পেমেন্টের ক্ষেত্রে আইফোন, ম্যাক ল্যাপটপ এবং ফোরকে এলইডি টিভির মতো আকর্ষণীয় উপহারও দেওয়া হবে।

পরিকল্পিত অবস্থান, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও আধুনিক নগর–পরিকল্পনার সমন্বয়ে আশিয়ান সিটি ভবিষ্যতের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগক্ষেত্র হিসেবে মেলায় দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। জুতসই আবাসন উন্নয়নে নাগরিক পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  

  • মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, আশিয়ান গ্রুপ