আবাসন খাতের তথ্যমতে, ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম এখন এলাকা, যোগাযোগব্যবস্থা, ভবনের মান ও ডেভেলপারের সুনাম—এই চার বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম কিছুটা কমলেও জমির উচ্চমূল্য ও সুদের চাপের কারণে ফ্ল্যাটের দামে বড় ধরনের পতন হয়নি।
আবাসন খাতের তথ্যমতে, ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম এখন এলাকা, যোগাযোগব্যবস্থা, ভবনের মান ও ডেভেলপারের সুনাম—এই চার বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম কিছুটা কমলেও জমির উচ্চমূল্য ও সুদের চাপের কারণে ফ্ল্যাটের দামে বড় ধরনের পতন হয়নি।

জেনে নিন

ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম স্থিতিশীল

দামগুলো শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি ও বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্রের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া। এটি আনুমানিক গড় মূল্যের তালিকা, তবে বিভিন্ন সুবিধা ও গুণাগুণ হিসেবে প্রকল্পভেদে কমবেশি হতে পারে।

রাজধানী ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে মিশ্র প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম কিছুটা কমলেও ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্যে বড় ধরনের পতন হয়নি। বরং এলাকা, সুযোগ–সুবিধা ও নির্মাণ মানের ওপর ভিত্তি করে দামে স্পষ্ট পার্থক্য রয়ে গেছে।

নগরের অভিজাত এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। গুলশান, বনানী ও বারিধারায় নতুন অ্যাপার্টমেন্টের দাম প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বিশেষ করে কূটনৈতিক এলাকা ও বাণিজ্যিক সুবিধাসংবলিত প্রকল্পে দাম আরও বেশি। ধানমন্ডি ও উত্তরা এলাকায় প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের দাম সাধারণত ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। ধানমন্ডির পুরোনো ব্লকে তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাট পাওয়া গেলেও নতুন প্রকল্পে দাম বেশি।

মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য জনপ্রিয় এলাকা মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মিরপুরের নতুন সেক্টর ও মেট্রোরেল–সংলগ্ন এলাকায় দাম তুলনামূলক বেশি। একইভাবে বাসাবো, খিলগাঁও ও রামপুরা এলাকায় প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের দাম ৯ থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।

শহরের প্রান্তিক ও সম্প্রসারিত এলাকায় দাম কিছুটা কম। আফতাবনগর, বাড্ডা, দক্ষিণখান, কেরানীগঞ্জ ও পূর্বাচলসংলগ্ন এলাকায় প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের দাম সাধারণত ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে। এসব এলাকায় তুলনামূলক বড় ফ্ল্যাট কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, তবে যোগাযোগ ও নাগরিক সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হচ্ছে।

রিয়েল এস্টেট খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উচ্চ সুদহার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ফ্ল্যাট বিক্রি কিছুটা ধীর হলেও ভালো লোকেশন ও মানসম্মত প্রকল্পে ক্রেতার আগ্রহ রয়েছে। ফলে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম আপাতত স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।