বিশ্ববাণিজ্যে যে ঝড় আসবে, তার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছিলেন, ক্ষমতায় এলে শুল্ক বৃদ্ধি করবেন।
ক্ষমতায় আসার পর চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেন, কোন দেশের সঙ্গে কত বাণিজ্যঘাটতি আছে, তা বের করে পাল্টা শুল্ক আরোপের। ট্রাম্পের কথা ও কাজে দারুণ মিল। ২০২৫ সালের ২ এপ্রিল বিশ্বের ১৫৭টি দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
এর পর থেকে যা চলছে, তাকে নাটকীয়তা ছাড়া অন্য কিছু আখ্যা দেওয়া যায় না। ২ এপ্রিলের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এই অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তিনি আলোচনার জন্য সময় দেন। কার্যত বাণিজ্যকে তিনি কূটনীতির হাতিয়ারে পরিণত করেন।
এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানেরা ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বিষয়টি যে তিনি উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর আচরণেই স্পষ্ট। রাখঢাক না রেখে ট্রাম্প বলে বসেন, ‘বিশ্বনেতারা এখন আমাকে “স্যার” “স্যার” করছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে মরিয়া।’
সেখানেই শেষ নয়, ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এসব দেশের নেতারা আমাদের ফোন করছেন। চুক্তি করার জন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’ এই কথা বলার পরই চীন ছাড়া বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প।
কথা ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যে যত শুল্ক আরোপ করে, সেই দেশের পণ্যে ঠিক ততটাই শুল্ক আরোপ করা হবে। ২ এপ্রিলের ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তা করতে পারতাম; কিন্তু তাতে অনেক দেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে।’ চীনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, চীন মুদ্রা কারসাজিসহ বাণিজ্যবাধা সব মিলিয়ে মার্কিন পণ্যে ৬৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে; যুক্তরাষ্ট্র করবে তার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ। সব দেশের বেলায় কমবেশি এই নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় বিপর্যস্ত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন ট্রাম্প। সব দেশের পণ্যে গড়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিষয়টি হলো, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ মার্কিন পণ্যে এত দিন উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল। অনেক দিন ধরেই এটা চলে আসছিল, যেমন ভিয়েতনাম মার্কিন পণ্যে ৯০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপ করে ঠিক তার অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। বাংলাদেশও মার্কিন পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ রেখেছিল। তখন তারা আমাদের পণ্যে তার অর্ধেক বা ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৫২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল, ২ এপ্রিল তাদের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করে ঠিক তার অর্ধেক বা ২৬ শতাংশ।
পৃথিবীর সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল; কারণ, যুক্তরাষ্ট্র পরাশক্তি। এই উচ্চ শুল্ক ছিল একধরনের মাশুল। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল রপ্তানি। সেই রপ্তানির মূল গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্প সেটা মানবেন না। তিনি সেই অর্থে পরাশক্তি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা, তা নিতে চান না। তিনি মূলত ব্যবসায়ী; ব্যবসা-বাণিজ্যই তাঁর মূল শক্তি। ২ এপ্রিলের আগে থেকেই তিনি বলে আসছিলেন, পৃথিবীর সব দেশ এত দিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে, কিন্তু সেই দিন আর নেই। ২ এপ্রিল সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে; সেদিন হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস।
৯ এপ্রিল ট্রাম্প যে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করেন, তার মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারিত হয়। অন্য দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে শুল্ক নির্ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পণ্য কেনা বাড়িয়ে বাণিজ্যঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেয়।
২ এপ্রিলের ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। শেষমেশ কয়েক দফা আলোচনার ভিত্তিতে এবং বাণিজ্যঘাটতি কমাতে বাংলাদেশের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সেই শুল্কহার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশের পণ্যে আগের গড় শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ; নতুন শুল্কসহ গড় হার হবে ৩৫ শতাংশ। তবে পণ্যভেদে শুল্কহার আলাদা হবে।
আগস্ট মাসে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। মূলত নির্বাহী আদেশে দুটি স্তর রাখা হয়েছে। যাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে ন্যায্যতা আছে, তাদের জন্য শুল্কহার ১০ শতাংশ। বাকি সবাই ১৫ শতাংশ বা তার বেশি। অর্থাৎ এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি আছে, যারা মার্কিন পণ্যে তুলনামূলক উচ্চ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা।
১৫ শতাংশ বা এর চেয়ে শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের আচরণ ও আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তিতে। কার্যত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে মুহূর্তে যা উপযুক্ত মনে করেছেন, সে অনুযায়ী শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন। এখন দেখে নেওয়া যাক, ৩১ জুলাইয়ের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী কোন দেশের পণ্যে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে:
১০ শতাংশ শুল্ক: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ও যুক্তরাজ্য
এর বাইরে তালিকায় যেসব দেশের নাম নেই, তাদের সবার ওপরেই ১০ শতাংশ হারে শুল্কহার ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এসব দেশ তাদের সঙ্গে ন্যায্য বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।
১৫ শতাংশ শুল্ক: আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, কঙ্গো (ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক), ইকুয়েডর, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ফিজি, ঘানা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, লেসোথো, লিচটেনস্টেইন, মাদাগাস্কার, মালাউই, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পাপুয়া নিউগিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ভানুয়াতু, ভেনেজুয়েলা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
এ ছাড়া ১৫ শতাংশ শুল্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর একটি ব্যাখ্যা আছে। যেমন যেসব ইউরোপীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই কম শুল্ক (১৫ শতাংশের নিচে) নিচ্ছিল, তাদের ওপর এখন এমনভাবে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যাতে মোট শুল্কহার হয় ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য শুল্কহার হচ্ছে ১৫ শতাংশ।
১৮ শতাংশ শুল্ক: নিকারাগুয়া।
১৯ শতাংশ শুল্ক: কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড।
২০ শতাংশ শুল্ক: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম।
২৫ শতাংশ শুল্ক: ব্রুনেই, কাজাখস্তান, মলদোভা ও তিউনিসিয়া।
৩০ শতাংশ শুল্ক: আলজেরিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, লিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
৩৫ শতাংশ শুল্ক: ইরাক ও সার্বিয়া।
৩৯ শতাংশ শুল্ক: সুইজারল্যান্ড।
৪০ শতাংশ শুল্ক: মিয়ানমার, লাওস।
৪১ শতাংশ শুল্ক: সিরিয়া।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রাজিলের পণ্যে ১০ শতাংশ এবং ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু উভয় দেশের সঙ্গে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক তিক্ততা বেড়ে গেলে তাদের ওপর শাস্তিমূলক ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
অন্যদিকে ভারতের ওপর এই শুল্কের ভূরাজনৈতিক প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার তেল কেনার জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে দেশটির ওপর। ফলে ভারত এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিয়েছে। আবার যে ট্রাম্প একসময় পাকিস্তানকে সহ্য করতে পারতেন না, সেই পাকিস্তানের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্রের দহরম-মহরম। অর্থাৎ বাণিজ্যনীতিকে পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র যে ধুয়া তুলে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করছে, তা এককথায় ভিত্তিহীন। বাণিজ্যঘাটতি থাকা মানেই খারাপ কিছু নয়। এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যে বাণিজ্যঘাটতির কথা বলে, তার মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি আছে। ঘাটতির যে হিসাব দেওয়া হয়, তা মূলত পণ্য-বাণিজ্যের। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে ঠিক, কিন্তু একই সঙ্গে যে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা-বাণিজ্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্ত আছে, সেটা তারা বলে না। বরং বলা যায়, সুবিধা নেওয়ার জন্য এড়িয়ে যায়।
ট্রাম্পের শুল্কসংক্রান্ত বয়ানের না-বলা সত্যটি হলো, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা-বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে।
এ ছাড়া যেকোনো দেশ উন্নতির বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন খাতের ওপর নির্ভর করে, যেমন প্রথমে কৃষিনির্ভরতা, তারপর শিল্পনির্ভরতা। এরপর যখন সেই দেশ উন্নতির চরম শিখরে উঠে যায়, তখন সেবা বা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রও সেই পর্ব পেরিয়ে এসেছে। পৃথিবীতে আজ যত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, তার প্রায় সবই তাদের তৈরি। এখন চীন সেই পথ ধরছে। ভারত কিছু আগেই সেবা বা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে বলে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন। উৎপাদন খাতে বিকশিত হওয়ার আগেই তারা সেবা খাতের দিকে এগিয়েছে। ফলে ট্রাম্প চাইলেই এখন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনের দিকে নিতে পারবেন না।
সেই সঙ্গে অন্যরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্যায্য সুবিধা নিয়েছে বলে ট্রাম্পের যে অভিযোগ, তা–ও সত্য নয়। ১৯৯৫ সালে জাপানের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বেশি ছিল। এখন তা এতখানি উল্টে গেছে যে কারও চোখ কপালে উঠতে পারে—২০২৩ সালে মার্কিনদের মাথাপিছু জিডিপি জাপানিদের তুলনায় ছিল ১৪৫ শতাংশ বেশি। বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দরিদ্র অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির মাথাপিছু জিডিপি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জাপানের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ ঘাটতি নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র খারাপ নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা শুল্ক আরোপের ঘটনায় ডব্লিউটিওর মূল নীতিগুলো কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে। যখন কোনো পরাশক্তি দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের সুবিধামতো শুল্কহার নির্ধারণ করে, তখন বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কাগুজে কাঠামোতে পরিণত হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্রমেই নিয়মের অধীন থেকে ক্ষমতাবানদের অধীনে চলে যাচ্ছে।
শুল্কযুদ্ধের কারণে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেক দেশ হয়তো নানাভাবে মানিয়ে নেবে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যেভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আগের প্রভাব বজায় রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, হোয়াইট হাউস