Thank you for trying Sticky AMP!!

আর ভুল চায় না পিএসসি, ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষকদের কড়া বার্তা

  • ৪১তম বিসিএসের লিখিত খাতা দেখতে ৩১৮ পরীক্ষকের ‘দায়িত্ব অবহেলার’ পর নড়েচড়ে বসেছে পিএসসি।

  • পরীক্ষকদের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আগের ভুলগুলো দেখানো হয়েছে।

  • ওই সব ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন

সম্প্রতি শেষ হওয়া ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা বিতরণের সময় পরীক্ষকদের কড়া বার্তা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খাতা দেখার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়াসহ খাতা দেখতে গিয়ে পরীক্ষকদের অবহেলার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

পিএসসি সূত্র বলছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত খাতা দেখতে ৩১৮ জন পরীক্ষকের ‘দায়িত্ব অবহেলার’ পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্রমতে, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর পরই পরীক্ষকদের ডাকা শুরু করে পিএসসি। পিএসসি মিলনায়তনে সেমিনার করে প্রতিদিন ১০০ জন করে পরীক্ষককে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আগের পরীক্ষকতদের করা ভুলগুলো দেখানো হয়। ওই সব ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

Also Read: ৪৩তম বিসিএস লিখিত: প্রশ্নের ভুল সনাক্তে কমিটি

৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশে দেরির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ৩১৮ জন পরীক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায় পিএসসি। এর মধ্যে গুরুতর অবহেলা করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেউ কেউ পরীক্ষার্থীর কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য নম্বরই দেননি। অনেকে খাতার শেষে থাকা প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন। কোনো কোনো খাতায় পরীক্ষক নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। অনেকে আবার এমনভাবে নম্বর দিয়েছেন, যা পুনর্মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়েছে।

পিএসসির সূত্রগুলো বলছে, ওই ভুলগুলো দেখিয়ে এবারের পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি আবার কোনো পরীক্ষক একই ধরনের ভুল করেন বা দায়িত্বে অবহেলা করেন, তাহলে ওই পরীক্ষকে আর খাতা দেওয়া হবে না। তাঁকে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করা হবে।

Also Read: পরীক্ষকদের ভুল শোধরাতে যা করছে পিএসসি

পরীক্ষকদের দিকনির্দেশনা দেওয়াসহ সতর্কতামূলক ওই সেমিনার এক সপ্তাহ ধরে চলে উল্লেখ করে একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষকদের খাতা দেখার সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পিএসসি।

বিসিএসসের পরীক্ষার খাতা দুজন পরীক্ষক দেখেন। প্রথম পরীক্ষক ১৫ দিনের মধ্যে ১০০ খাতা দেখবেন এবং পিএসসিতে জমা দেবেন। এটি জমা দিলে দ্বিতীয় পরীক্ষককে সেসব খাতা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষকদেরও ১৫ দিনের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করতে হবে। কেউ বেশি সময় নিলে আগামী দিনে পিএসসির কোনো পরীক্ষায় তিনি খাতা পাবেন না।

ওই সেমিনারে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন পরীক্ষকের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁরা বলেন, সেমিনারে অংশ না নিলে কাউকে খাতা দেখতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আগের পরীক্ষকদের ভুলগুলো দেখানো হয়েছে। তাঁরা যাতে একই ভুল আর না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Also Read: বিসিএস প্রিলির কাট মার্কস নিয়ে যা বলল পিএসসি

জানতে চাইলে সেমিনার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পিএসসির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রায় ৮০ হাজার। এসব খাতা দেখতে ৮০৯ জন পরীক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে পিএসসি।

আগের পরীক্ষকদের ভুল দেখানো হয়েছে ও সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সেমিনারের জন্য পিএসসির বাড়তি সময় ও অর্থ যাচ্ছে, কিন্তু আমরা একই ধরনের ভুল বারবার দেখতে চাই না।’ উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।