১৮তম নিবন্ধন: আইসিটি প্রভাষকে সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি কলেজ প্রভাষক পদে নিবন্ধনধারী কিন্তু সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (সোমবার) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি কলেজ প্রভাষক পদে সুপারিশবঞ্চিত নিবন্ধনধারীদের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বিষয় কোড, সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ৭নং নির্দেশনা অনুসারে ‘আদার’ অপশনে মাদ্রাসায় চয়েস প্রদান—এসব বিষয় পুনর্বিবেচনা করে মাদ্রাসাপর্যায়ে প্রভাষক পদে সুপারিশ প্রদানের দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, একই বিষয় কোড (৪৫২), একই সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং মাদ্রাসাপর্যায়ে অধিক শূন্যপদ (১২৫০+) থাকা সত্ত্বেও এবং ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ৭নং নির্দেশনার ভিত্তিতে মাদ্রাসায় পছন্দক্রম প্রদান করার পরও তাদের সুপারিশ নিশ্চিত হয়নি। এর ফলে অসংখ্য নিবন্ধনধারী সুপারিশপ্রাপ্ত হননি। এনটিআরসিএ–এর সদ্যবিদায়ী শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান অনুবিভাগের পরিচালক কামরুল আহছান দায়িত্বকালীন সময়ে তাদের এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে শুনেছেন এবং দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করে ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিদায়ের পর সেটি আর কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

ইমরান হোসাইন নামের একজন প্রার্থী অভিযোগ করেন, গণবিজ্ঞপ্তির ৮নং পয়েন্টে বলা আছে, কোনো প্রার্থী যদি তাঁর প্রদত্ত ৪০টি পছন্দক্রম অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হন এবং তিনি যদি ‘আদার’ অপশনে ‘ইয়েছ’ ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের নিমিত্ত ফলাফল প্রসেস করা হবে। অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ‘আদার’ অপশনে ‘ইয়েছ’ ক্লিক করে ‘জেনারেল’ ও ‘মাদ্রাসা’—এ দুটি অপশনই পেয়েছি এবং অপশনগুলো রেড মার্ক করা ছিল বিধায় আমাদের আবশ্যিকভাবে সিলেক্ট করতে হয়েছে আবেদন জমাদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। তাদের নির্দেশনা অনুসারে আবেদন করা সত্ত্বেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ প্রদান করা হয়নি। ফলে সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মেধাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও কলেজপর্যায়ের অধিকাংশ প্রার্থী আজ বঞ্চনার শিকার।

উল্লেখ্য, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন। ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৮২২টি শূন্য পদের চাহিদার বিপরীতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন প্রায় ৪১ হাজার।