Thank you for trying Sticky AMP!!

কৃষি গুচ্ছের ভর্তিতে আবেদন শুরু, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ

কৃষি বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন আজ বৃহস্পতিবার আবেদন শুরু হয়েছে।

কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ।

আবেদনের যোগ্যতা

২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যাঁরা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই কৃষি গুচ্ছের ভর্তিতে আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ও এবং এ লেভেল পাস করা প্রার্থীর ক্ষেত্রে ও লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং এ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।

Also Read: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ

আবেদনের সময়সীমা

আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৮ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি

আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা মাত্র (ট্রানজেকশন চার্জ ব্যতীত)।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ আসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫ আসন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮ আসন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩ আসন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫ আসন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১ আসন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ আসন এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ আসন।

Also Read: ইরাকের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬৫ বৃত্তি, সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র

ভর্তি পরীক্ষায় মোট আটটি কেন্দ্র থাকবে। ১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, ২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, ৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; ৪. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; ৫. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; ৬. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; ৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; এবং ৮ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর তালিকা অনুযায়ী আবেদনকারী শিক্ষার্থী কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চান, তা ১ থেকে ৮ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে আবেদনকারীর পছন্দক্রম এবং আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়ের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।

Also Read: ৭৫,৩০০ টাকা করে পেল ৩৩২ মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আসনসংখ্যা

এবার ৩ হাজার ৫৪৮ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

নির্বাচনী পরীক্ষার পদ্ধতি ও নম্বর বণ্টন

এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে কৃষি গুচ্ছে। আগামী ৫ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্র একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০২২ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।

মেধা স্কোর কীভাবে হবে

মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় তথ্যাবলি

আবেদনের যাবতীয় তথ্য (acas.edu.bd) ওয়েবসাইটে পাবেন শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং ভর্তি কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও পরিমার্জনের অধিকার রাখে।