২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর) মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে আট পরীক্ষককে পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষকেরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন সাভারের সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চতর গণিতের শিক্ষক মহসীন আলামীন, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসাইন আকন, ঢাকার নবাবগঞ্জের মুন্সীনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, টাঙ্গাইলের বাসাইলের সুল্লা আব্বাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. আলেকজান্ডার মিয়া, নরসিংদীর বেলাবোর বারৈচা কলেজের বাংলার শিক্ষক মধুছন্দা লিপি, ডেমরার রোকেয়া আহসান কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মুরছানা আক্তার, সাভারের হাজী ইউনুছ আলী কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. জাকির হোসাইন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. রাকিবুল হাসান।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই আট পরীক্ষক শিক্ষার্থীদের দিয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের (ওএমআর) বৃত্ত ভরাট করান। যার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে শিক্ষকেরা দায় স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষও তদন্ত করে তাঁদের অপরাধের সত্যতা পেয়েছে। এ জন্য তাঁদের ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।