মাইক্রোসফট রিসার্চ ফেলোশিপ ২০২৬: গবেষকদের জন্য নতুন যে সুযোগ

বিশ্বব্যাপী গবেষক ও শিক্ষাবিদদের জন্য উন্মুক্ত হলো মাইক্রোসফট রিসার্চ ফেলোশিপ। এই ফেলোশিপের মাধ্যমে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও মাইক্রোসফট রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করবেন। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির যুগে এই সহযোগিতাকে প্রতিষ্ঠানটি ‘ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য অপরিহার্য’ বলে উল্লেখ করেছে।

কারা আবেদন করতে পারবেন

এই ফেলোশিপে আবেদন করতে পারবেন তিন ধরনের একাডেমিক ব্যক্তিত্ব—
১. পিএইচডি শিক্ষার্থী
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
৩. পোস্টডক্টরাল গবেষক

শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা

– আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি থাকতে হবে।

শিক্ষকদের যোগ্যতা

– অধ্যাপক বা সহকারী/সহযোগী অধ্যাপকেরা নিজেরা প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন।
– তাঁদের প্রস্তাবে একজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচিত হলে উভয়েই ফেলো হবেন।
– অধ্যাপকের অবশ্যই টার্মিনাল ডিগ্রি (যেমন PhD বা DSc) থাকতে হবে।

পোস্টডক্টরদের যোগ্যতা

– পোস্টডক্টরাল গবেষক নিজস্ব প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার বা ডিপার্টমেন্ট চেয়ার–এর লিখিত অনুমোদন থাকতে হবে।
– সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ও ওপরের তালিকাভুক্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে হতে হবে।

প্রযোজ্য দেশগুলো

আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ইউরোপ, ভারত, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পুয়ের্তো রিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকেরা আবেদন করতে পারবেন।

ফেলোশিপের অর্থায়ন ও সুবিধা

– নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানে এককালীন অনুদান হিসেবে প্রদান করা হবে।
– ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না।
এই অনুদানে ভ্রমণ খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যাতে ফেলোরা মাইক্রোসফট রিসার্চ ল্যাব বা অফিসে গিয়ে গবেষণার সহযোগীদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে পারেন। সব অর্থ ২০২৬ সালের মার্চ/এপ্রিল মাসে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।
এই উদ্যোগ একাডেমিক গবেষণা ও শিল্পক্ষেত্রের উদ্ভাবনকে একত্রিত করবে। প্রোগ্রামটির লক্ষ্য কেবল প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং এমন সমাধান তৈরি করা, যা মানবকল্যাণে বাস্তব প্রভাব ফেলে।

  • বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।