তারুণী সচদেব। উইকিমিডিয়া কমন্স
তারুণী সচদেব। উইকিমিডিয়া কমন্স

১৪তম জন্মদিনেই মৃত্যু হয় অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করা এই শিশুশিল্পীর

দারুণ সম্ভাবনা দিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। এক সিনেমা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকমনে। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় অকালেই ঝরে যায় এই শিশুশিল্পী। কে তিনি? জেনে নেওয়া যাক ডিএনএ অবলম্বনে।

২০০৪ সালে মুক্তি পায় মালয়ালম সিনেমা ‘ভেল্লিনাকসাতরাম’। কমেডি-হরর ঘরানার এই সিনেমায় ছিলেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। সঙ্গে ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন এক শিশুশিল্পী। সে তারুণী সচদেব। এক সিনেমা দিয়েই দক্ষিণ ভারতে ব্যাপক পরিচিতি পায় সে। তরুণীর জন্ম মুম্বাইয়ে, মালয়ালম মোটেও জানত না। কিন্তু সিনেমার প্রয়োজনে মাত্র কয়েক দিনেই ভিন্ন ভাষা রপ্ত করেছিল সে।

পরে তাকে দেখা যায় দক্ষিণি সিনেমা ‘শত্যম’, হিন্দি সিনেমা ‘পা’তে। এ ছাড়া করেন ৫০টির বেশি বিজ্ঞাপনচিত্র। ফলে অল্প বয়সেই ভারতজুড়ে পরিচিতি পান এই শিশুশিল্পী।

তারুণী সচদেব। ফেসবুক থেকে

কারিশমা কাপুরের সঙ্গে করা তার একটি বিজ্ঞাপনচিত্র তখন বেশ আলোচিত হয়েছে। ‘পা’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন সমালোচকেরা।

তারুণীকে নিয়ে পরিচালকেরা যখন নতুন নতুন প্রকল্পের কথা ভাবছেন, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ২০১২ সালের ১৪ মে নিজের ১৪তম জন্মদিনের দিনেই এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যায় কিশোরী সচদেব। ফ্লাইটে তার সঙ্গে ছিলেন মা গীতা সচদেব। তিনিও একই দুর্ঘটনায় মারা যান। ২০১২ সালের ১৬ মে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁদের মরদেহ। সে সময় প্রতিভাবান এই অভিনয়শিল্পীর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল বিনোদন–দুনিয়াকে।

তারুণী সচদেব অভিনীত সবশেষ সিনেমা ‘ভেটরি সেলভান’। তামিল এই সিনেমা মুক্তি পায় কিশোরীর মৃত্যুর পর। ২০১৪ সালের ১৯ জুন মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দর্শকেরা।