
সালমান শাহর চলে যাওয়ার ২৫ বছর হলো। ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে এখনো ভালোবাসায় বেঁচে আছেন তিনি। মৃত্যুদিনে ফেসবুকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন বিনোদন–দুনিয়ার মানুষ। কী লিখেছেন তাঁরা?
ছটকু আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
এককথায় সালমান শাহ একজন কালজয়ী শিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। তাকে বলা হয় বাংলা ছবির ফ্যাশন আইকন।। মৃত্যুর ২৫ বছর পরও তার অভিনীত ছবি সমানভাবে দর্শক-ভক্তদের কাছে প্রিয়। চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবির অভিনয় দিয়ে জয় করেছে অগণিত দর্শকহৃদয়। মৃত্যুর পর দেখা যায় তারকাদের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে, কিন্তু সালমানের দিন দিন বাড়ছে। ভক্তদের কাছে সালমান এক বিস্ময়, রহস্যঘেরা তারকা। ১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না–ফেরার দেশে চলে যায় এ নায়ক। আজ তার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান আল্লাহর কাছে সালমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি। সালমান যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক—এটাই আমাদের প্রার্থনা।
ওমর সানি, চলচ্চিত্র অভিনেতা
ওপারে ভালো থেকো। আজকের প্রয়াণদিবসে তোমাকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আল্লাহ যেন তোমার সব গুনাহ মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌসের সৌভাগ্য দান করেন।
অমিত হাসান, চলচ্চিত্র অভিনেতা
আজ সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ। অভিনেতা সালমান শাহ না–ফেরার দেশে ২৫ বছর। আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করি।
শিল্পী, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
যেখানেই থাকো, তুমি অনেক ভালো থেকো, তোমার জন্য অনেক দোয়া। আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করুন।
আরিফিন শুভ, চলচ্চিত্র অভিনেতা
উই স্টিল মিস ইউ কিং।
মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা
আপনার কোটি কোটি ভক্ত এখনো আপনাকে আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখে। আপনি কি সেই চিঠিগুলো পড়েন? আপনি কি জানতে পারেন, এখনো তারা আপনাকে কতটা ভালোবাসে? যেখানেই থাকেন, ভালো থাকেন, অসংখ্য মানুষের প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। অশেষ শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা।
নিরব হোসেন, চলচ্চিত্র অভিনেতা
নব্বইয়ের দশকে আপনি চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হ্যালির ধূমকেতুর মতো! সিনেমাতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পর্দায় পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরন, অভিনয় দক্ষতা—সবকিছু মিলিয়ে একজন দর্শক হিসেবে আমার মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি। মৃত্যুর ২৫ বছর পরও বাংলা সিনেমার ‘রোমান্টিক হিরো’দের তালিকায় আপনার স্থান সবার ওপরে। স্পষ্ট মনে পড়ে রাজবাড়ীর পাংশার নূপুর সিনেমা হলে জীবনে প্রথম আপনার অভিনীত ‘জীবন সংসার’ সিনেমা দেখেছিলাম। পর্দায় আপনাকে দেখে নায়ক হওয়ার ইচ্ছা সেদিনই প্রথম জেগেছিল। আহ্! কী সেই নায়ক, কী তাঁর অভিনয়, কী তাঁর স্টাইল! ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ভালো থাকুন আমাদের অমর নায়ক সালমান শাহ।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নাট্যাভিনেতা
আজ প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। কিংবদন্তির কখনো মৃত্যু নেই। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই কিংবদন্তি নায়ককে।
মেহজাবীন চৌধুরী, নাট্যাভিনেত্রী
আজ অমর নায়ক সালমান শাহের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী—বেঁচে থাকবেন হাজার হাজার বছর চিত্রনায়ক সালমান শাহ ভক্তদের হৃদয়ে।
বাপ্পী চৌধুরী, চলচ্চিত্র অভিনেতা
সালমান শাহ একটি ভরসার নাম, একটি দীর্ঘশ্বাসের নাম। ২৫টি বছর পেরিয়ে গেছে তিনি নেই। আসলেই কি নেই? তাঁর স্টাইল, কথাবার্তা, চলন, হাসি, রুচিবোধ—সবকিছুতে যেন রাজত্বের ছাপ। এফডিসিতে যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা সবাই বলেন, মানুষ হিসেবেও তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। প্রিয় মানুষ নিয়ে বেশি লেখা যায় না। শব্দগুলো দীর্ঘশ্বাসের মতো যেন ভারী হয়ে আসছে। তবে এই মুহূর্তে একটি গানের কথা বেশ মনে পড়ছে, ‘ভালো আছি, ভালো থেকো/ আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো...।’ তাঁর উদ্দেশে আমার এই ভালোবাসাও আকাশের পানে ছুড়ে দিলাম। তাই বলছি—প্রিয় সালমান শাহ, যেখানেই থাকুন, আমাদের ভালোবাসা নেবেন।
লুৎফর হাসান, সংগীতশিল্পী
আমাদের জেনারেশনের যারা সরাসরি সালমান শাহকে দেখেছে, আমরা তাদের অন্যতম। আমাদের এলাকা মধুপুরে শুটিং ছিল ‘আনন্দ অশ্রু’র। নাওয়া–খাওয়া ভুলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আমরা তাদের ইউনিটের মাইক্রোর পেছনে বাইসাইকেল নিয়ে ছুটতাম আর সারা দিন শুটিং দেখতাম। এর কিছুদিন পরই নায়ক মারা যান। খবরটা বড় ধরনের ধাক্কা ছিল আমাদের জন্য, সেদিন ছিল শুক্রবার। বিকেলে টিভিতে বাংলা সিনেমা দেখতে বসেছিলাম। সিনেমার ফাঁকে একটা ব্রেকিং নিউজ গেল। তারপর তো কেবলই রূপকথা।
কায়েস আরজু, চলচ্চিত্র অভিনেতা
যেখানেই থাকো, ভালো থেকো ভাইয়া। মহান আল্লাহ তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
নিলয় আলমগীর, চলচ্চিত্র অভিনেতা
২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আমাদের অমর নায়ক সালমান শাহকে!
জাহারা মিতু, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
সবার শেষটা যেখানে কেয়ামতে, ছেলেটার শুরুটাই হয়েছিল ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে। তখনই মনে হয়েছিল বলি, ‘তুমি আমার’ রয়েছ ‘অন্তরে অন্তরে’; তুমি ‘সুজন সখী’। সেদিন ইচ্ছা হয়েছিল ‘স্নেহ’ভরা ‘বিক্ষোভ’ করি তাঁকে নিয়ে। ‘প্রেমযুদ্ধ’ শেষে নির্দিষ্ট ‘দেনমোহর’ দিয়ে ‘কন্যাদান’ হোক আমার। তারপর ‘স্বপ্নের ঠিকানা’য় ‘আঞ্জুমান’ মঞ্জিলে ‘আশা ভালোবাসা’ নিয়ে শুরু হোক আমাদের ‘এই ঘর এই সংসার’। ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে ‘প্রিয়জন’ আমার শুধু ‘তোমাকে চাই’; তা–ই হোক আমাদের ‘মহামিলন’। ‘প্রেমপিয়াসী’র মতন ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ শুরু করে ‘আনন্দ অশ্রু’র সঙ্গে সাজাই ‘জীবন সংসার’। তারপর একদিন হঠাৎ ‘মায়ের অধিকার’ আদায় না করেই ‘বুকের ভেতর আগুন’ রেখেই হলো তোমার প্রস্থান। বলা হয়নি ‘শুধু তুমি’ আমার ‘স্বপ্নের নায়ক’। যারা বিশ্বাস করে সেটি অপঘাত, তারা নিজেকে বারবার মিথ্যা সান্ত্বনা দেয় এই ভেবে যে, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, তাই ‘বিচার হবে’।