ঢালিউড তারকা শাকিব খানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে অপু বিশ্বাসের। বিচ্ছেদের পর শাকিব খান ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এসে করতে দেখা গেছে অপু বিশ্বাসকে। বছরখানেক ধরে মত পাল্টেছেন অপু। যেখানেই যাচ্ছেন, শাকিব খান ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে ইতিবাচক সব কথা বলছেন। যেকোনো সাক্ষাৎকারে বেশির ভাগজুড়ে থাকে শাকিব ও তাঁর পরিবারের প্রসঙ্গ। অভিনেত্রী যেন শাকিব-সন্তান আব্রাহাম খান জয় কিংবা সাবেক শ্বশুরবাড়ি নিয়ে স্মৃতিতে ডুবে থাকেন। এবার শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম ঈদ কাটানোর স্মৃতি, সন্তান জয়ের ঈদ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলেছেন নায়িকা।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম ঈদ কেমন কেটেছিল, জানতে চাইলে জবাবে অপু বলেন, ‘প্রথম ঈদের অভিজ্ঞতা খুবই খুবই বাজে। যদিও বেশ কয়েক জায়গায় এই গল্প আমার বলা হয়েছে।’
কথায় কথায় সেই অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস জানান, শাকিব খিচুড়ি খুব পছন্দ করে। আর সেই খিচুড়ি একটু নরম হলে খুবই ভালো। যদি সেই খিচুড়িতে একটু সবজি থাকে, তাহলে তো আরও ভালো।
অপু বললেন, ‘ঈদের দিন তো খিচুড়িতে সবজি দিলে ভালো লাগবে না। কারণ, যেসব রান্না হয়, তার সঙ্গে খিচুড়িটা নরমাল হলেই ভালো। কিন্তু সবজি দিয়ে খিচুড়িটা ওর পছন্দ। ওই জায়গা থেকে আমি খুব ভাবসাব নিচ্ছি যে শ্বশুরবাড়িতে নাকি রান্না করলে ভালো। তাদের খুব মন পাওয়া যায়। ভয় ভয় নিয়ে রান্নার উদ্যোগ নিচ্ছি। ঈদের দিন শাকিবের পরিবারের সবাই আসতে থাকে। তবে ওর সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ ছোট বোন মণি। তাই এই বোনের বিয়েতে শাকিব বাবার মতো কেঁদেছে। ঈদের দিন সবাই একে একে বাসায় আসছে। আমাকে বলা হলো খিচুড়িটা রান্না করতে। আমি মাকে ফোন করে খিচুড়ি চুলায় বসালাম। তিন সাড়ে তিন কেজি চাল দিলাম, তবে পানি কম। সবাই টেবিলে বসে গেছে।
শাশুড়ি এসে তখন জিজ্ঞেস করলেন, “অপু তোমার রান্না হয়েছে?” আমি বললাম, “মা, পুরোটা সেদ্ধ হয়নি, আধা সেদ্ধ হয়েছে।” তার ওপর হলুদ এত বেশি। বাজে একটা গন্ধ বের হচ্ছে। আমি কেঁদে ফেললাম। আমার শ্বশুর খুব ভালো মানুষ। বললেন, “এত কান্নার কী আছে। ভাত বসিয়ে দিলেই হয়।” পরে শাশুড়ি তাড়াতাড়ি খিচুড়ি রান্না করে ফেললেন। সেই ঈদটা খুব বাজে অভিজ্ঞতা ছিল।’
অপু বিশ্বাসের বর্তমান সময়ের ঈদ কেমন কাটছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বললেন, ‘এখন তো কোনো না কোনোভাবে ঈদের রেশ চার-পাঁচ দিন থেকেই যায়। আমি তো মনে করি, মেয়েদের ঈদ হয় দুইভাবে। ঈদের দিন তো রান্না হয়। রান্নাগুলো থেকে যায়। খাবার নষ্ট আমি পছন্দ করি না। সেটা আবার ঠিকঠাক করা, আবার খাওয়া।
আমি বলব, সব থেকে বেশি ভালো ঈদ যাচ্ছে জয়ের। সালামি ঈদ থেকে শুরু হয়, ঈদের কয়েক দিন পরও পেতে থাকে। সালামি পাওয়ার পর এসে বলবে, “মা নাও।” তখন আমি বলি, “কী চাও?” জয়ের আজকাল রুবিকস কিউব খুব পছন্দ। ওটা আর কত টাকা, সাড়ে তিন শ। কিন্তু ও তো অনেক সালামি পায়। রাতে সব টাকা গুনি, কিছু টাকা জয়ের হাতে মুড়িয়ে যায়, সেগুলো আবার ঠিক করি। নায়িকা থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই ছোট ছোট ভালো লাগাগুলো, যা সারা জীবন থেকে যাবে।’