৯৮তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন নির্মাতা লীসা গাজীর সিনেমা ‘বাড়ির নাম শাহানা’।
এ বছর পাঁচটি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল; ছবিগুলো হলো—‘সাবা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘নকশিকাঁথার জমিন’, ‘প্রিয় মালতী’ ও ‘ময়না’। এর মধ্যে ‘বাড়ির নাম শাহানা’ সিনেমাটিকে অস্কারের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে পাঠিয়েছে অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
এর বাইরে ‘সাবা’ সিনেমাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটি নির্বাচিত না করায় নির্মাতা আদনান আল রাজীবসহ অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। তরুণ নির্মাতা মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
তবে ‘বাড়ির নাম শাহানা’ সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘বিনোদন সারাদিন’ শোতে সঞ্চালক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘সাবা’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ থেকে অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করছে না, বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে—এটা নিয়ে আপনার কী বক্তব্য?—উত্তরে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘এটা নিয়ে আসলে আমার কোনো কমেন্ট (মন্তব্য) নেই। বিকজ (কারণ) এখানে বাংলাদেশকে যেহেতু রিপ্রেজেন্ট (তুলে ধরা) করার ব্যাপার এখানে, বেস্ট ফিল্মটা (সেরা সিনেমা) রিপ্রেজেন্ট করুক। জুরি মেম্বারটা (বিচারকেরা) মনে করেছেন, “বাড়ির নাম শাহানা” সিনেমাটি বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে। আই অ্যাম ভেরি মাচ ওকে উইথ দ্য ডিসিশন (আমি সিদ্ধান্তটা মেনে নিয়েছি)।’
মেহজাবীন বলেন, ‘ডেফিনেটলি (নিশ্চয়ই) নিজের ফিল্ম গেলে অন্য রকম একটা ভালোলাগা কাজ করা। বাট যেহেতু এটাও আমাদের দেশের অনেক ইম্পর্টেন্ট (গুরুত্বপূর্ণ) একটা ফিল্ম, এটা আমাদের দেশ থেকে রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছে। আই হ্যাভ মাই বেস্ট উইশেস ফর দ্য টিম (সিনেমাটির জন্য শুভকামনা জানাই) এবং আই রিয়েলি হোপ দ্যাট (আমি আশা করি) এই সিনেমাটা শুধু সাবমিশন (জমা দেওয়া) পর্যন্ত না, এটা যাতে নমিনেশনও (মনোনয়ন) পায়। এটা আমাদের জন্য হিস্টোরিক্যাল মোমেন্ট (ঐতিহাসিক মুহূর্ত) হবে, আই রিয়েলি হোপ দ্যাট (সত্যিই আমি এটা চাই)।’
নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘বাড়ির নাম শাহানা’। সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত সিনেমায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেকটিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।