দুই পুত্র সৌম্য ও দিব্যর সঙ্গে বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি দম্পতি
দুই পুত্র সৌম্য ও দিব্যর সঙ্গে বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি দম্পতি

বৃন্দাবনের জন্মদিনে খুশির আবেগঘন পোস্ট

নাট্যকার, অভিনয়শিল্পী বৃন্দাবন দাসের জন্মদিন আজ (৭ ডিসেম্বর)। পারিবারিক ছবিটি আজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। ছবিতে বৃন্দাবন ও খুশি দম্পতির সঙ্গে দুই পুত্র সৌম্য জ্যোতি ও দিব্য জ্যোতিকে দেখা গেছে।

আবেগঘন পোস্টে খুশি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন বৃন্দাবন। যে মানুষ, একটা লাল চায়ে একটা টোস্ট বিস্কুট পেলেই খুশি হয়ে যায়, অন‍্যের খারাপ সংবাদে চুপ হয়ে যায়, দেশের গান শুনলে যে অঝোরে কেঁদে ফেলে, শরীরের সুস্থতা ছাড়া যে ভবিষ্যতে কোনো সঞ্চয়ের চিন্তা করে না, যে কখনো কারও অমঙ্গলের কথা ভুলেও ভাবে না, এমন প্রাণের মানুষের অনেক অনেক কাল বেঁচে থাকা উচিত। তুমি সুস্থ থাকো।’

দুই পুত্র সৌম্য ও দিব্যর সঙ্গে বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি দম্পতি

এর আগে গতকাল শনিবার আরেক পোস্টে খুশি লিখেছেন, ‘জীবনের সব অবজ্ঞা, অপবাদ এবং বঞ্চিত হবার গল্প পেছনে ফেলে, এখনও হাসো তুমি, হাসি আমি। এমন করেই যেন সামনের দিনগুলো পার করতে পারি। সুস্থ থেকো দিব্য, সৌম্যর জন্য। সুস্থ থেকো বাংলা নাটকের জন্য। আরও অনেক দিন বেঁচে থাকো। হাজারো বৈরিতায় তুমি, আমি কোনো স্বপনের হাত ধরে থিতু হয়ে বসতে পারিনি।’

বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি দম্পতি

খুশি লিখেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে পানের বাটা সামনের রেখে যেন থিতু হয়ে বসে দুদণ্ড নিদানকালের গল্প করতে পারি। হিসাব করে দেখতে পারি, কাদের, কোন শঠতা আমাদের একটুও শান্তি করে বসতে দেয়নি। তুমি নাই, কিন্তু তোমার জন্মতারিখটা বারবার ফিরে আসছে—এমন দিন যেন আমার দেখতে না হয়। ভালোবাসা।’

বৃন্দাবন দাসের জন্ম পাবনায়, ঢাকায় আসেন ১৯৯৫ সালে। যুক্ত হন মঞ্চনাটকে। আরণ্যক নাট্যদলে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক লিখতে শুরু করেন বৃন্দাবন। ১৯৯৭ সালে লেখেন প্রথম নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। নির্মাতা ছিলেন সাইদুল আনাম টুটুল। নাটকটি দেখা গিয়েছিল একুশে টিভিতে। আড়াই দশক ধরে নাটক লিখছেন বৃন্দাবন দাস।

মূলত গ্রামকেন্দ্রিক নাটক লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন এই নাট্যকার। ‘সাকিন সারিসুরি’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘ঘরকুটুম’, ‘গরু চোর’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘পত্র মিতালী’, ‘কবুলিয়তনামা’—এমন জনপ্রিয় নাটকের নাট্যকার বৃন্দাবন। অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।