মানুষ চিনতে ভুল করেছি

ভালো–খারাপ মিলিয়েই চলছে।

আমি গৎবাঁধা কাজ করছি না। এখন বুঝেশুনেই কাজ করতে চাই। এখন অনলাইনে কাজের অনেক সুযোগ। সেগুলো করছি। মাঝে তো করোনার জন্য কাজ করিনি। এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিও, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় কাজ করলাম। এবার কাজ করতে গিয়ে কাকতালীয়ভাবে মজার ঘটনা ঘটেছে।

আমার ক্যারিয়ার ১০ বছরে পড়ল। ২০১১ সালের এই সময়েই আমি প্রথম কাজ শুরু করি। দীর্ঘদিন পর সেই একই নির্মাতা, সামির আহমেদের নির্দেশনায় অভিনয় করলাম। শুটিংয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। ১০ বছর আগের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল। এখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে প্রথম দিনের মতোই অনুভূতি হয়। ভাবছিলাম, কীভাবে অভিনয়শিল্পী হয়ে গেলাম।

আমার এক বন্ধু বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের জন্য স্ক্রিন টেস্ট দিতে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে দেখে নির্মাতা অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজী হয়ে যাই। তিনি আমাকে বিজ্ঞাপনের ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। পরে একই নির্মাতার একটি টেলিছবিতে অভিনয় করি। এভাবে অভিনয়টা ভালো লাগা শুরু হয়।

আমি তো ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার নির্মাতা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমি নির্মাতাই হতে চাই। অভিনয়ের পাশাপাশি সেই প্রস্তুতির মধ্যেই রয়েছি।

প্রযোজক হয়ে মানসম্মত কিছু কাজ করতে চাই। আমার নির্মাতা হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। গত বছর কাজ করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এবার আবার শূন্য থেকে শুরু করেছি।

অভিনয় শুরু করার চার বছর পর মনে হয়েছে, আমি অভিনয়ের প্রেমে পড়েছি। তখন নিয়মিত নাটকে অভিনয় করে গেছি। এখন নাটকও করতে চাই না।

আমি নিজেকে একটু অন্যভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। জোয়ারে গা ভাসাব না। তারকাও হতে চাই না। সাধারণ অভিনয়শিল্পী হয়েই সব সময় আমি চেষ্টা করি ভালো থেকে আরও ভালো করার। এখন আমার ভালো লাগার জায়গা ওটিটি ও বড় পর্দা।

ক্যারিয়ারে তেমন কোনো ভুল ছিল না। কিছু কাজ হয়তো না করলেও পারতাম। সেসব নিয়ে আফসোস করি না, অনুতপ্তও নই। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবনটা ভুলে ভরা।

মানুষ চিনতে ভুল করেছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভুল ছিল। ভুল এখনো করি। মানুষ ভুল করবেই। ভুল থেকেই জীবনে চলতে শিখেছি।

আমি এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেই পথ চলছি। কোনো কাজ শুরু করার আগে বুঝতে পারি, কোন সিদ্ধান্তটি ভুল, কোনটি শুদ্ধ। সব সময় সতর্ক থাকি। তারপরও মানুষের পক্ষে সব সময় শতভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কষ্টকর। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে অন্যরাও আমার মতো।

শুটিংয়ের সময়ই শাকিব ভাইসহ (শাকিব খান) আমরা সবাই পরিচালক অনন্য মামুনকে বলেছিলাম, ওটিটির পাশাপাশি সিনেমা হলেও এটা ভালো চলবে। আগামী শুক্রবার ছবিটা হলে মুক্তি পাচ্ছে। মনে হয়েছিল, অনলাইনে মুক্তি দিয়ে সিনেমাটির সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। এবার ছবিটির সুবিচার হচ্ছে। আশা করছি দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করবেন।

আমার এমন একটা বয়স, মানসিক অবস্থা, কাজের ব্যস্ততা, সব মিলিয়ে প্রেম করার সময় নেই। আপাতত বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। পরিবারের পছন্দে দুই–তিন বছর পর বিয়ে করতে পারি।

না না। এখনো যথেষ্ট তরুণ আমি। আমার তো বয়স খুব বেশি না। এটাই নিজেকে দাঁড় করার পারফেক্ট সময়। এই জন্য আমার চোখ ক্যারিয়ারের দিকে। আগে ভালোভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

‘ফেক বউ’ স্বল্পদৈর্ঘ্যের কাজ শেষ করলাম। ঈদে অনলাইনের কিছু কাজের কথা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেগুলো করব।