প্রিয়ন্তী উর্বী
প্রিয়ন্তী উর্বী

জীবনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি

আজ মুক্তি পাচ্ছে তরুণ অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বী অভিনীত তিন নাটক ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘ভাবিয়া করিও কাজ’ ও ‘তাহার মায়া’। গতকাল তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মকফুল হোসেন

প্রশ্ন

‘এমন দিনে তারে বলা যায়’ নাটকের গল্পটা কেমন?

প্রিয়ন্তী উর্বী: (জাহিদ) প্রীতম ভাইয়া যখন আমাকে গল্পটা পাঠায়, তখন আমি একটা শুটে ছিলাম। শুট শেষ করে বাসায় ফিরতে রাত দেড়টা বাজে। ভাবলাম, গল্পের দুই পৃষ্ঠা পড়ি, এরপর ঘুমিয়ে যাব। দুই পৃষ্ঠা পড়তে গিয়ে ৩০ পৃষ্ঠার পুরো গল্পটা শেষ করি। তখন রাত সাড়ে ৪টা বাজ। গল্পটা পড়ার পর আমার গুজবাম্পস (গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠা) হয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রীতম ভাইয়াকে নক করে বলি, আপনি এটা কী গল্প লিখেছেন? এত সুন্দর গল্প, আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। তখন থেকেই গল্পটা মাথায় ঘুরছিল। গল্পটা অদ্ভুত। নাটকের প্রমো, টিজার, ট্রেইলার বেরোচ্ছে—তবে নাটকের গল্পটা কেমন হতে পারে, সেটা বোঝার কোনো উপায় নাই।

প্রিয়ন্তী উর্বী
প্রশ্ন

এতে আপনার চরিত্রটা কেমন?

প্রিয়ন্তী উর্বী: আমার চরিত্রটা একজন সাইকোলজিস্ট। আমার জীবনের দুটো সময় দেখানো হয়েছে। চরিত্রটি খুবই বুদ্ধিমতী, নিজেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। নিজের যেটা মনে হয়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়। কারও কথা শোনে না।

প্রশ্ন

‘ভাবিয়া করিও কাজ’ ও ‘তাহার মায়া’ কাজ দুটি কেমন?

প্রিয়ন্তী উর্বী: ভাবিয়া করিও কাজ–এ আমার সঙ্গে কাজ করেছেন আরশ খান, পরিচালনা করেছেন রাইসুল তমাল। এতে কলেজের এক শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করেছি, চরিত্রটি একটি ভুল করে ফেলে—সেটা নিয়েই নাটকের গল্প। রাইসুল তমাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার আর আরশের জুটিটা বেশ ভালো যায়। আমাদের একটি নাটক পাখি গো নাম ধরে ডাকো এক মাসে ১১ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে।

আর তাহার মায়ার গল্পটা সুন্দর। এতে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন পার্থ শেখ, পরিচালনা করেছেন প্রত্যয় (আরমান রহমান) ভাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গল্প। আমার চরিত্রটি শিক্ষার্থী, যে বিভিন্ন ক্রাইসিসে (সংকটে) পড়ে। তাঁকে পার্থ শেখ অনেক হেল্প করে।

প্রিয়ন্তী উর্বী
প্রশ্ন

মাঝে আপনাকে ওটিটিতে নিয়মিত দেখা গেছে, এখন কম দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে নাটকে নিয়মিত হয়েছেন।

প্রিয়ন্তী উর্বী: কেন জানি না, আগে ওটিটি থেকে যে রকম প্রতি মাসে কল আসত; এখন তত আসে না। এলেও আহামরি খুব ইন্টারেস্টিং (দারুণ) গল্প না। ওই রকম গল্প না পেলে করতে চাই না। এর মধ্যে নাটকটা করছি। আমি অভিনয় শিখছি, যদি ক্যামেরার সামনে একেবারে না আসি তাহলে অভিনয়ের ইমপ্রুভমেন্ট (মান উন্নয়ন) হবে না। আমি অভিনয়টা করে যাচ্ছি, যাতে প্রতিনিয়ত ইমপ্রুভমেন্ট হয়।

প্রশ্ন

‘নীলচক্র’র পর আর কোনো সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন?

প্রিয়ন্তী উর্বী: বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য পেয়েছি। তবে ওটিটি ও সিনেমাতে একটু এক্সক্লুসিভ থাকতে চাই। চরিত্রটা পড়ে যদি আমারই মনে হয়, গল্পে চরিত্রটার ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) কম। তখন তো আর কাজটা করতে ইচ্ছা করে না।

প্রিয়ন্তী উর্বী
প্রশ্ন

বিয়ের পর আপনার জীবনে কী পরিবর্তন এল?

প্রিয়ন্তী উর্বী: তেমন কোনো চেঞ্জ (পরিবর্তন) আসেনি। আমি কাজ করছি, হাজব্যান্ড (স্বামী) কাজ করছে। যে রকম চলছিল সে রকমই আছে। তবে যদি আরও স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) করে বলি, বিয়ে তো একটা নিয়ামত। আমার মনে হয়, কাজ (অভিনয়) আরও বাড়ছে। আরও বেটার পজিশনে (ভালো অবস্থানে) যাচ্ছি।