হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা ও নির্মাতা টেইলার পেরির বিরুদ্ধে আবারও গুরুতর যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এবার এ অভিযোগ এনেছেন ‘বু আ মেডিয়া হ্যালোইন’ ছবির অভিনেতা মারিও রদ্রিগেজ। ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলাও করেছেন এ অভিনেতা। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি টাইলার পেরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ।
মারিও রদ্রিগেজের করা মামলার আরজি অনুযায়ী, পেরি বছরের পর বছর ধরে তাঁর ওপর যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছেন।
শুরুটা ২০১৪ সালে, লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি জিমের ট্রেইনারের মাধ্যমে পেরি তাঁর ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন এবং অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন।
ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার পর পেরি তাঁকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে সিনেমা দেখার সময় তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একাধিকবার যৌন লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। প্রতিবার ঘটনার পর রদ্রিগেজের পকেটে পাঁচ হাজার ডলার করে গুঁজে দিয়েছিলেন।
রদ্রিগেজ এই মামলায় পেরির পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিবেশক সংস্থা লায়ন্সগেটের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, স্টুডিও কর্তৃপক্ষ পেরির এই আচরণ সম্পর্কে জেনেও ব্যবসায়িক স্বার্থে তা ধামাচাপা দিয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি ৭৭ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছেন।
রদ্রিগেজ জানান, তিনি এত দিন ভয়ে চুপ থাকলেও গত জুনে অভিনেতা ডেরেক ডিকসনের দায়ের করা মামলার খবর শুনে সাহস পেয়েছেন। ডিকসন পেরির বিরুদ্ধে ২৬০ মিলিয়ন ডলারের একটি মামলা করেছেন, যেখানে তিনি ‘দ্য ওভাল’ এবং ‘রুথলেস’ সিরিজে কাজ করার সময় একই ধরনের হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। ডিকসনের মামলাটি বর্তমানে জর্জিয়ার ফেডারেল আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে টেইলার পেরির আইনজীবী অ্যালেক্স স্পিরো এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এর আগে অন্য একটি মামলায় ব্যর্থ হয়ে একই আইনজীবী এখন পুরোনো সব মনগড়া কাহিনি নিয়ে টাকা আদায়ের ধান্দা করছেন।
গালফ নিউজ অবলম্বনে