Thank you for trying Sticky AMP!!

আর্টসেলে মাতলেন তরুণেরা

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গান নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে আর্টসেল উদ্‌যাপন করেছে পথচলার ২০ বছর। ছবি: প্রথম আলো

নিজেদের ভালো লাগার জন্য গান করতেন তাঁরা। আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে আর্টসেল। তাদের মূল অনুপ্রেরণা মেটালিকা, পিংক ফ্লয়েড, ড্রিম থিয়েটার ও প্যান্টেরার মতো ব্যান্ড দল। প্রাথমিক অবস্থায় আন্ডারগ্রাউন্ড কনসার্টে পারফর্ম করা এ ব্যান্ড দলটিই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে দারুণ জনপ্রিয়। দেখতে দেখতে তারুণ্যদীপ্ত এ দলটি তাদের পথচলার ২০ বছর পার করছে। আর এ উপলক্ষে মঙ্গলবার গান নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করেছে পথচলার ২০ বছর।

পৌষের নবম রজনীতে আর্টসেলের ২০ বছরের পথচলা উপলক্ষে ‘টোয়েন্টি ইয়ার্স অব আর্টসেলিজম’ কনসার্টে সাক্ষী হতে এসেছিলেন অগণিত তরুণ প্রাণ। রাজধানীর বসুন্ধরার আইসিসিবি এক্সপো জোনে দুপুর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তরা গুন গুন সুরে গেয়ে যাচ্ছিলেন—‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে, ‘ধূসর সময়’, ‘এই বিদায়ে’, ‘চিলেকোঠার সেপাই’, ‘ভুল জন্ম’, ‘পথ চলা’, ‘ইতিহাস’, ‘ঘুণে খাওয়া রোদ’র মতো গানগুলো। ঘড়ির কাঁটায় তিনটা বাজতেই খুলে দেওয়া হয় প্রবেশদ্বার। প্রথম ঢুকতে পারা তরুণকে আর আটকায় কে? হুররে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন তিনি। সন্ধ্যায় ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। অনুষ্ঠানস্থলের নান্দনিক আলোকসজ্জা আর গ্রাফিকস প্রদর্শনী নজর কাড়ে দর্শকদের।

অনুষ্ঠানস্থলের নান্দনিক আলোকসজ্জা আর গ্রাফিকস প্রদর্শনী নজর কাড়ে দর্শকদের। ছবি: ফেসবুক থেকে

ভক্তদের শিহরিত করতে মঞ্চে থাকা সাতটি বড় পর্দায় আর্টসেলের বিভিন্ন কনসার্টের ছবির পরই ভেসে ওঠে এরশাদ, সাজু, সেজান, লিংকন, রূপক, রুম্মন, ফয়সালের চেহারা। আর্টসেল শব্দে ধ্বনিত হতে থাকলে মঞ্চে আসে মূল আকর্ষণ আর্টসেল। লিংকনের ভোকালে ‘রাহুর গ্রাস’ গাওয়া শুরু হয়। মঞ্চের পাশে থাকা চারটি বড় পর্দায় হঠাৎ করে ভেসে ওঠেন একজন। যিনি হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিলেন অনেকের কাছে। তিনি আর কেউ নন, আর্টসেলের একসময়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ এরশাদ। তিনি জানান শুভকামনা।

নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের এবিসি—আর্টসেল, ব্ল্যাক, ক্রিপটিক ফেইট। আর্টসেলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মঞ্চে এসে আর্টসেলের সঙ্গে ‘এই বিদায়’ গানটি করেন ব্ল্যাকের সদস্য জাহান। এরপর মিনার্ভা শুভেচ্ছা জানায়। মিনার্ভার সদস্য ইশমি আর্টসেলের সঙ্গে পরিবেশন করেন নতুন গান ‘সংশয়’। মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় উন্মাদ, নাইভ, ক্রাঞ্চ, ট্রেইনরেক, পাওয়ারসার্জকে। ব্যান্ডগুলো একটি করে আর্টসেলের গান করে। সবশেষে আর্টসেল মঞ্চে আসে তাদের জনপ্রিয় গান ‘অনিকেত প্রান্তর’ নিয়ে। যেখানে বাঁশির সুরে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন বে অব বেঙ্গলের বখতিয়ার। এরপর আর্টসেলের আরেক বিখ্যাত গান ‘চিলেকোঠার সেপাই’ পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন।

লিংকনের রিফ, সাজুর ড্রামিং, সেজানের বেজ ও ফয়সালরা মাতিয়ে রেখেছিলেন শ্রোতাদের। ছবি: প্রথম আলো

লিংকনের রিফ, সাজুর ড্রামিং, সেজানের বেজ ও ফয়সালরা মাতিয়ে রেখেছিলেন শ্রোতাদের। আর্টসেল কথা দিয়েছিল অদেখা স্বর্গের অনুভূতিতে নিয়ে যাওয়ার। ভক্তদের উত্তেজনার মধ্যেও ছিল যেন অদেখা স্বর্গে হারিয়ে যাওয়ার প্রশান্তি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়াটিক এক্সপিরেনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড।