‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই চর্চায় রয়েছে। কলকাতার বাংলা ছবিটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দিয়েছে ভারতের সার্টিফিকেশন বোর্ড। সম্প্রতি অ্যাডাল্ট সনদ পাওয়ার ঘটনা কলকাতার সিনেমায় দেখা যায়নি। ফেডারেশনের সঙ্গে বিরোধের জেরে মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষ গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে পায়েল সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা গেছে ঋষভ বসুকে। আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা।
‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ ছবিতে এক সাহসী দৃশ্যে দেখা গেছে ঋষভ বসুতে। শুধু নগ্ন দৃশ্যই নয়, ঋষভকে দেখা গিয়েছে পায়েল সরকারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে, কখনো চুম্বনের দৃশ্যে। এমন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নেন অভিনেতা?
বাণিজ্যিক ছবির নায়ক হয়ে এ ধরনের দৃশ্যে অনেকেরই অস্বস্তি থাকে। কিন্তু ঋষভ সে ধারণায় বিশ্বাসী নন।
তাঁর কথায়, ‘আসলে এ ধরনের কাজ হলিউডে প্রতিনিয়ত হয়। শাহরুখ খান তাঁর প্রথম দিকে ছবিতে এমন দৃশ্যে কাজ করেছেন। সবটাই শিল্পের জন্য করা। একজন ফাইন আর্টিস্ট হয়ে ফাইন আর্টসের জন্য এটা আনন্দ দিয়েছে।’ যদিও এ দৃশ্যে ঋষভকে একা নয়, পায়েল সরকারকেও দেখা গিয়েছে। বলিউডে এখন এ ধরনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য শুট করার পরিচালক আলাদা রয়েছেন। এ ছবির ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন সুযোগ হয়নি বলেই জানান ঋষভ; বরং এই দৃশ্যায়নের পুরোটাই তাঁর নিজের ভাবনা বলেই দাবি অভিনেতার।
ঋষভের কথায়, ‘আসলে আমি “শ্রীকান্ত” করেছিলাম বলে একটা অভিজ্ঞতা ছিল এ ধরনের দৃশ্য কীভাবে শুট করা হয়, সেটা সম্পর্কে। আর প্রস্তুতি বলতে এই শরীর প্রদর্শনের জন্য চেহারাটা সুঠাম রাখতে সাহায্য করেছিল কোভিড।’ ঋষভ জানান, দর্শক আগেও তাঁকে অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখেছেন। তিনি কাজটা সুচারুভাবে পারেন বলেই হয়তো প্রস্তাব পান। তাই চরিত্রের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি নেই তাঁর।