বলিউডের সঙ্গে পাল্লা দিতে যে পথে হাঁটছে টালিউড

জিৎ
ছবি: ফেসবুক থেকে

বলিউডের সিনেমা মানেই বাজেট বড়। আলোচনাও বেশি হয়। এ ছাড়া উৎসবগুলোতে বলিউডের সিনেমার আলাদা দাপট থাকে। সেই সময় যেন কোণঠাসা হয়ে যায় ভারতের অন্যান্য চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিগুলো। যে কারণে এবার আগেভাগেই ভিন্ন পথে হাঁটার ঘোষণা চূড়ান্ত করেছে টালিউড।

নতুন বছর থেকে নতুন নিয়মে হাঁটবে কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। সম্প্রতি কলকাতার স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে দেব, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অতনু রায়চৌধুরী, কমিটির সভাপতি অভিনেত্রী পিয়া সেনগুপ্তসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে

এ ছাড়া টালিউডে বছরে কতটি সিনেমা নির্মাণ হবে, সেই সংখ্যাও তাঁরা আগেই ঠিকঠাক করতে চান। আগেই এই তালিকা চেয়েছিল স্ক্রিনিং কমিটি। সেই তালিকা অনুযায়ী বছরে ছয়টি করে ছবি প্রযোজনার দায়িত্ব নিয়েছে এসভিএফ, সুরিন্দর ফিল্মস, নন্দী মুভিজ। চারটি করে ছবি বানানোর তালিকায় উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থা, দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া, সুরিন্দর ফিল্মস, ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন, ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনসের নাম। বছরে দুটো করে ছবি বানানোর কথা জানিয়েছেন জিৎ, পিয়া সেনগুপ্ত এবং অঙ্কুশ হাজরা।

দেব

দৈনিক আনন্দবাজারকে বৈঠক নিয়ে পিয়া বলেন, ‘উৎসবের সময়ের যে ১১টি সপ্তাহ বেছে নেওয়া হয়েছে, সেখানে প্রাইম টাইম শো-তে বলিউড বা হলিউডের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে ন্যূনতম দেড় থেকে দুই কোটি টাকা বাজেটের ছবি বানাতে হবে। তবেই এই বিশেষ শো টাইম পাওয়া যাবে।’

শুধু তা–ই নয়, যে প্রযোজক বছরে একটি ছবি বানাবেন, তিনি প্রাইম টাইম শো পাবেন না। একই ভাবে কয়েক বছর আগে তৈরি হওয়া ছবিও আগামী বছর থেকে ‘প্রাইম টাইম শো’–এ জায়গা পাবে না। এগুলো সব ‘নন প্রাইম টাইম শো’–এ মুক্তি পাবে। ২০২৫-এর শেষ দিকে যাঁরা কোনো ছবি তৈরি শুরু করেছেন, তাঁরা ২০২৬-এ দেখানোর সুযোগ পাবেন। একই ভাবে যাঁরা ২০২৬-এ ছবি বানাবেন, তাঁরা ওই বছরই ছবি দেখানোর সুযোগ পাবেন।

তবে দেব বা রাজ চক্রবর্তী বছরে কটি করে ছবি বানাবেন, এদিনের বৈঠকেও চূড়ান্ত হয়নি।

তবে বৈঠকের এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বাইরে স্বাধীন ধারার নির্মাতাদের উৎসবে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সুযোগ এতে সংকুচিত হবে।