Thank you for trying Sticky AMP!!

গুলি চালালেন মামুনুর রশীদ

কষ্টিপাথর নাটকের শুটিংয়ের দৃশ্যে স্বাগতা

মেঝেতে বিছানা পাতা। সেই বিছানার ওপর হাত–পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে আছেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ। অল্প আলোর সেই ঘরজুড়ে আরও মানুষজন। একসময় মামুনুর রশীদ গুলি করলেন। শ্যামলের বুকে লাগল সেই গুলি। তবে শ্যামল মরলেন না। খানিক পরে পরিচালকের ‘কাট’ শুনে উঠে দাঁড়ালেন এই অভিনেতা। মানে, দৃশ্যটা ঠিকঠাক হলো। পরিচালক সেরনিয়াবাত শাওন সম্ভবত খুশিই হলেন। হাসতে হাসতে বের হলেন স্বল্প আলোর সেই ঘর থেকে।

গত সপ্তাহে শুটিং হয়েছে নাটক ‘কষ্টিপাথর’-এর। নাটকটি রচনাও সেরনিয়াবাতের। পুরান ঢাকার অলিগলি আর একটি বাড়িতে টানা দুই দিন চলেছে শুটিং। পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার সেই শুটিংবাড়িতে পা রাখতেই পরিচালক একটি বাড়তি তথ্য দিলেন। এই বাড়িতেই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’র শুটিং হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী বাচ্চাদের যে স্কুলটা চালাতেন, সেটার শুটিং হয়েছে এখানে। আশপাশটা ঘুরে পরিচালকের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেল। তবে কষ্টিপাথর নাটকটি পুরান ঢাকায় শুটিং করার রহস্য কী? শাওন বললেন, ‘আমার গল্পটা পুরান ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।’

বলতে বলতে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা এগিয়ে এলেন। পরের দৃশ্যের প্রস্তুতি নেবেন তিনি। অবশ্য সেই শুটিংবাড়িতে পা রেখেই দেখা গেছে একটা লাশকে কেন্দ্র করে ভিড়। সেই লাশ সামনে রেখে প্রভার কান্নাও বেজেছে কানে। সেটা কার লাশ, এখনই বলতে চাইলেন না প্রভা ও পরিচালক কেউই। কষ্টিপাথরের মতো সেটাও একটা রহস্য করে রাখলেন দুজন। তবে প্রভা প্রশংসা করলেন পরিচালকের। বললেন, ‘শাওনের কাজ মানেই একটা ভিন্ন ধরনের গল্প। চিত্রনাট্য দেখেই আগ্রহ হয়েছে। আমি এর আগে এই পরিচালকের লিফলেট নামে একটা নাটকে অভিনয় করেছিলাম। সেটি বেশ আলোচিত হয়েছিল।’

কষ্টিপাথর নাটকে ফুলওয়ালীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিনাত শানু স্বাগতা। সারা দিন পান খেয়ে ঠোঁট লাল করেছেন আর চেহারায় নিয়ে এসেছেন কালো বর্ণ। এত কিছুর কারণটা ‘চরিত্রের খাতিরে’—বললেন তিনি। ততক্ষণে রাত বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে দৃশ্য ধারণের সংখ্যা। কিন্তু পরিচালক বললেন, ‘আজ শুটিংয়ের শেষ দিন। তাই পুরো নাটক শেষ করতে করতে ভোর হতে পারে।’ ভোরের অপেক্ষা করা গেল না। ফিরতে হলো। পরিচালক জানালেন, খুব তাড়াতাড়ি নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে। তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায় বটে।