Thank you for trying Sticky AMP!!

নাতনির আবদার পূরণ করলেন নানা

‘টাইম ব্যাংক’ টেলিছবির দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

: আমি ক্যারেক্টার করতে চাই।
: করবে? ঠিক তো?
: অবশ্যই করব।
এটি বরেণ্য অভিনয়শিল্পী নানা আবুল হায়াতের সঙ্গে তাঁর নাতনি শ্রীষা আনেরা খানের কথোপকথন। তাই তো অভিনয়-আবদার পূরণ করতে নানা তাঁর লেখা ও পরিচালিত টেলিছবিতেই সুযোগ করে দিলেন। গত শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে নাতনিকে নিয়ে ‘টাইম ব্যাংক’ টেলিছবির শুটিং শেষ করেন।

পরিচালক আবুল হায়াত জানান, আজ শুক্রবার চ্যানেল আইতে প্রচারের জন্য টেলিছবিটি তৈরি হয়েছে। আবুল হায়াতের ছোট মেয়ে নাতাশা হায়াত আর মেয়েজামাই শাহেদ শরীফ খানের বড় মেয়ে শ্রীষা আনেরা খান রাজধানীরএকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শ্রীষার নাটকের শুটিংয়ে সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন নানি। আবুল হায়াত বলেন, ‘চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পর শ্রীষা আমাকে যেভাবে খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করছিল, তাতে নিশ্চিত হলাম, অভিনয়ে ওর আগ্রহ আছে। শুটিংয়ের সময় তো বলছিল, সংলাপ এভাবে দেব নাকি অন্যভাবে দেব—বুঝতে বাকি রইল না কতটা সিরিয়াস।’

‘টাইম ব্যাংক’ টেলিছবির দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

এক বছর আগে পত্রিকায় একটি খবর পড়ে ‘টাইম ব্যাংক’ টেলিছবির ভাবনা মাথায় আসে বলে জানান আবুল হায়াত। বললেন, ‘এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না, সম্ভবত সুইডেনের কোথায় যেন এমন একটি ব্যাংকের খবর জানতে পারি, যেখানে সময় জমা থাকে। বিষয়টা ইন্টারেস্টিং মনে হওয়ায় চিত্রনাট্য লিখি। বছরখানেক পর এসে গল্পটি নিয়ে টেলিছবি বানাচ্ছি।’

টেলিছবির গল্পে শ্রীষার দাদা হিসেবে দেখা যাবে নানা আবুল হায়াতকে। শুরুতে বিষয়টি মানতে চায়নি শ্রীষা। এরপর বুঝিয়ে বললে বিষয়টি মেনে নেয়। টেলিছবিকে সামাজিক সচেতনতার গল্প উল্লেখ করে আবুল হায়াত জানান, নাটকে এমন একজন লোককে দেখানো হয়েছে, যার ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি বিদেশে থাকে। ব্যবসা নিয়ে থাকলেও লোকটি ভীষণ একা এবং সময় অঢেল। এর মধ্যে জানা যায়, দেশে একটা ব্যাংক চালু হয়েছে, যেখানে সবাই সময় জমা করে।