
আমি হিন্দু ধর্মালম্বী। আমার মামা দুজন। বড় মামা ১৯৯৪ থেকে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছোট মামা ১৯৯৫ থেকে সপরিবারে ভারতে বসবাস করেন। আমার ছোট মামা ১৯৯৪ সালে আমার মায়ের কাছে ২৪ শতাংশ জমি সাব-রেজিস্ট্রি মূলে বিক্রয় করে নিঃস্বত্ববান হন। পরে তিনি ১৯৯৭ সালে বেড়াতে এসে গোপনে এক মুসলিম লোকের কাছে ওই ২৪ শতাংশ ভূমি বিক্রয় করেন। এখন সেই ক্রেতা আমাদের জায়গা দখল করতে এলে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিসে বসি। সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতে বণ্টনের মোকদ্দমা করি। বণ্টনের মোকদ্দমায় সিদ্ধান্ত হয়, আমার ছোট মামা বাস্তবে সাড়ে ১৪ শতাংশ ভূমির মালিক।
আমার প্রশ্ন হলো—
১. আমার মা কি সাড়ে ১৪ শতাংশের মালিকানা পাবেন এবং ওই ক্রেতা কি কোনো জায়গা পাবেন না? এদিকে আমার দিদিমা (মায়ের মা) ১৪ শতাংশ ভূমির মালিক ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে মারা যান। যার ফলে আমরা জানি যে, তাঁর সম্পত্তিতে আমার দুই মামা অংশীদার হবেন।
২. আমার ছোট মামা (যেহেতু তিনি আমাদের কাছে ২৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে বিক্রি করেছেন) তাঁর মায়ের সম্পত্তির থেকে যে ৭ শতাংশ জমির মালিক হবেন, সেই জমির মালিকানা কি আমরা পাব?
৩. আমার মামারা যেহেতু দেশ আসেন না (তাঁদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে, তাঁরা আসবেন না) তাই তাঁদের সম্পত্তিতে মালিক হবেন কারা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
হিন্দু আইনে মেয়েদের সম্পত্তিতে শুধু জীবনস্বত্বে অধিকার। তবে আপনার মামা যেহেতু সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন, সেহেতু আপনার মা তাঁর মালিক হবেন। সেক্ষেত্রে মামা তাঁর মালিকানার সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারেন। তাঁর মালিকানার সম্পত্তির বাইরের সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারেন না। আপনার মামা তাঁর প্রাপ্য ৭ শতাংশ আপনাদের নামে হস্তান্তর করলেই আপনারা তাঁর মালিকানা পাবেন। তাঁরা দেশে না এলেও তাঁদের সম্পত্তির মালিকানা থাকবে এবং তাঁদের মৃত্যুর পর সম্পত্তির মালিক হবেন তাঁদের ছেলে সন্তান।
আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমি দ্বিতীয়। আমার বড় ভাই আমার মেজো চাচার মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে (চার ও তিন বছর বয়সী)। ভাই ও ভাবির সম্পর্ক বেশি ভালো ছিল না। ভাবির বাবা-মাসহ পুরো পরিবার চট্টগ্রাম থাকেন, বিধায় ভাবি বেশির ভাগ সময় ওখানেই থাকতেন। দু-তিন আগে আমাদের পাশের গ্রামের এক মহিলাকে নিয়ে ভাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।
এখন ভাবি ও তাঁর পরিবার থেকে আমাদের দেনাপাওনা বুঝিয়ে দিতে বলছে। এখন এ অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?
মো. সাইফুল
আপনার ভাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও স্ত্রীর পোষণ ও ছোট মেয়েদের ভরণপোষণ তাঁদের প্রাপ্য। ভরণপোষণ ছাড়াও প্রয়োজনে স্ত্রীর দেনমোহর আপনারা দিতে বাধ্য।
আমি একটি মেয়েকে চার বছর ধরে ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে। আমার বয়স ২৪ বছর, মেয়েটির বয়স ২০ বছর। আমি মুসলিম আর মেয়েটি হিন্দু। তার পরিবার আমাদের প্রেমের কথা জানার পর থেকে তাকে ঘরে আটকে রেখেছে। কিন্তু আমরা দুজন বিয়ে করতে চাই। দুজনের ধর্ম ঠিক রেখে আমরা কি বিয়ে করতে পারব? পারলে কীভাবে?
রিপন খান
হিন্দু-মুসলিম বিবাহ আইনসিদ্ধ নয়। সুতরাং নিজ নিজ ধর্ম বহাল রেখে বিয়ে সম্ভব নয়। তবে আপনারা স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বা বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় বিয়ে করতে পারেন। এই আইনের মাধ্যমে বিবাহ করলে একধরনের ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন আছে।
পাবলিক প্লেসে ধূমপানের অপরাধে কত দিনের সাজা হতে পারে? ধূমপানের কারণে কাউকে শাস্তি দিতে হলে, আমি কীভাবে পুলিশের সাহায্য পাব?
মেরিনা বুশরা
কুমিল্লা।
পাবলিক প্লেসে ধূমপানের অপরাধে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। তবে আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া এই জরিমানা আরোপের অধিকার মোবাইল কোর্টের আওতাধীন। মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট এই জরিমানা আরোপ করবেন। ব্যক্তিগতভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোনো সুযোগ। সরকারি গেজেটে যাদের অভিযোগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, শুধু তারাই অভিযোগ করতে পারেন। জরিমানার পরিমাণ ৩০০ টাকা। তবে দ্বিতীয়বার এই অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা দ্বিগুণ হতে পারে।