খরচ কমাতে ছাড়ে পণ্য কেনার চেষ্টা করেছেন অনেকে
খরচ কমাতে ছাড়ে পণ্য কেনার চেষ্টা করেছেন অনেকে

সালতামামি ২০২৫

পরিবারের খরচ কমানোর চেষ্টা দেখা গেছে

আরও একটি বছর বিদায় নিচ্ছে আজ। আমাদের জীবনযাপনে এই একটি বছর ছিল ঘটনাবহুল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে পরিবার, দাম্পত্য জীবন, কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাসের মতো নানা বিষয়ে কোন জিনিসগুলো ট্রেন্ডে ছিল। এখানে রইল পরিবারে আলোচিত বিষয়গুলো।

বছরজুড়েই খরচ কমাতে পরিবারগুলোকে নানাভাবে কৌশলী হতে দেখা গেছে। কেউ নিত্যদিনের বাজার খরচ কমিয়েছে, কেউ বিলাসী সামগ্রীতে হাত দিয়েছে বুঝেশুনে। মূল্যছাড়ে কেনাকাটা বেড়েছে। আর তাই ‘ইয়ারএন্ড’ ছাড়ের বাইরেও বছরের নানা সময়ে শপিং মলগুলোতে ছাড়ের নোটিশ দেখা গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় উৎসবের সময়গুলোর কথা, ঈদ হোক বা দুর্গাপূজা, কেনাকাটায় আগ্রহী করতে ছাড় দিয়েছে অনেক ব্র্যান্ড।

অনেক পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই বেড়েছে লং ডিসটেন্স। বিদেশে পাড়ি জমানো মানুষের সংখ্যা এবারও ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ পড়তে গেছেন, কেউ গেছেন উন্নত জীবনের খোঁজে। গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষ যেমন চোখে পড়েছে, একইভাবে শহর থেকে অনেকের পরিবার গ্রামেও ফিরে গেছে।

মা–বাবার সঙ্গে সন্তানের জেনারেশন গ্যাপ কমিয়ে আনার বিষয়টি আলোচিত ছিল

পরিবারগুলোর মধ্যে আরেকটি দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল প্রজন্ম ব্যবধান। বিশেষ করে সন্তানদের সঙ্গে মানসিক বয়সের ব্যবধান কমাতে অনেক মা–বাবা কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হয়েছেন। একাধিক মনোরোগ চিকিৎসক জানিয়েছেন, সন্তানদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় ছিলেন অনেক মা–বাবা। তাঁদের মন বুঝতে তাই চিকিৎসকের কাছে এসেছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবক।

সন্তানদের পড়াশোনা নিয়েও অনেক পরিবারের উদ্বেগ ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্তানকে বাংলা নাকি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াবে, সেই দ্বন্দ্ব তো ছিলই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে স্কুল বুলিং নিয়ে উদ্বেগ। পরিবারে থাকা বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়েও অনেক পরিবার দোটানায় ভুগেছে। প্রবীণদের চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য সাশ্রয়ে কেয়ার গিভারের খোঁজ করেছে অনেক শহুরে পরিবার।