আমাদের স্নাতকেরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা প্রমাণ করেছে

প্রথম আলোর রোববারের ক্রোড়পত্র—স্বপ্ন নিয়ে। শুরু হয়েছে স্বপ্ন নিয়ের বিশেষ আয়োজন ‘ক্যাম্পাস ক্যানভাস’। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক ক্যানভাসে তুলে ধরা হয় একটি ক্যাম্পাসের আদ্যোপান্ত। ক্যাম্পাস ক্যানভাসের আজকের পর্বে স্থান পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)। পড়ুন ইউএপির বিভিন্ন বিভাগের ডিনদের বক্তব্য।

আবু সাঈদ এম. আহমেদ, ডিন, স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ডিজাইন
ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌজন্যে
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ডিজাইন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। স্থাপত্য, নগর-পরিকল্পনা, ঐতিহ্য ও ভৌত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে প্রদর্শনী ও কর্মশালায়। আমাদের বিভাগ থেকে আয়োজন করা হয় ডিজাইন প্রতিযোগিতা, নানা সামাজিক ও পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ছাত্র, শিক্ষক ও পেশাজীবীদের মিলিত প্রচেষ্টা স্থাপত্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি করছে। সহায়ক হচ্ছে দেশ-বিদেশের স্বীকৃতি অর্জনে। আমরা গর্বিত, কারণ এই অর্জন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠছে।
আবু সাঈদ এম. আহমেদ, ডিন, স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ডিজাইন
এম. এ. বাকী খলীলী, ডিন, স্কুল অব বিজনেস
তরুণদের স্বপ্ন পূরণের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম স্কুল অব বিজনেস। আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখি না। দক্ষ উদ্যোক্তা, উদ্ভাবনী চিন্তক ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করি। নিয়মিত আয়োজন করা হয় সেমিনার, গবেষণা কার্যক্রম, কেস কম্পিটিশন, বিতর্ক, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এ ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। আমাদের স্নাতকেরা ইতিমধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। স্কুল অব বিজনেসের লক্ষ্য—জ্ঞান, নৈতিকতা ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে এমন এক প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা ভবিষ্যতে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।
এম. এ. বাকী খলীলী, ডিন, স্কুল অব বিজনেস
মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া, ডিন, স্কুল অব ফার্মেসি
স্কুল অব ফার্মেসি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একাডেমিক উৎকর্ষ ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী, আধুনিক ল্যাব–সুবিধা ও ফলপ্রসূ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের ফার্মাসিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। আমাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে পেশাগত জীবনে সুনাম অর্জন করেছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, হাসপাতাল ও গবেষণাক্ষেত্রে তাদের সাফল্য ও অবদান আমাদের গর্বিত করে। ভবিষ্যতেও আমরা উদ্ভাবনী গবেষণা ও মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক অঙ্গনে ফার্মেসি শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া, ডিন, স্কুল অব ফার্মেসি
জি. আর. আহমেদ জামাল, ডিন, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল এবং পুরকৌশল—তিনটি বিভাগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে ইউএপির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং। আধুনিক ল্যাব, দক্ষ শিক্ষক ও গবেষণার সুযোগ শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তুলছে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, রোবোটিকস, প্রকল্প প্রদর্শনী, সিভিল মডেল কনটেস্টসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত কৃতিত্ব দেখাচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। শুধু পড়ালেখায় নয়; খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সামাজিক সেবাতেও তারা সক্রিয়। ইতিমধ্যে অনেক স্নাতক দেশ-বিদেশে প্রযুক্তি খাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ইউএপির প্রকৌশল শিক্ষা আজকের মতো আগামী দিনেও জাতির অগ্রযাত্রায় বড় অবদান রাখবে।
জি. আর. আহমেদ জামাল, ডিন, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং