কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ১৮ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জয়, ২৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক; বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব তাঁর নামের পাশে সেঁটে যেতে বাকি নেই। এমবাপ্পের ক্ষিপ্র গতি শুধু মাঠের ভেতরে নয়, মাঠের বাইরেও সমান গতিশীল। গাড়ির প্রতি তাঁর প্রেমের কথা হয়তো জানেন অনেকেই। তবে জানেন কি, এমবাপ্পের ড্রাইভিং লাইসেন্সই নেই! লাইসেন্স না থাকলেও তাঁর গাড়িপ্রেম অবশ্য কমেনি। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এমবাপ্পের সংগ্রহে থাকা গাড়ির খবর।

এমবাপ্পের গাড়ির তালিকায় প্রথম নাম আসবে জার্মান গাড়ির কোম্পানি ভক্সওয়াগনের। এ ব্র্যান্ডের তিনটি গাড়ি আছে তাঁর সংগ্রহে। প্রথমটি হলো ভক্সওয়াগন মাল্টিভ্যান। পাঁচ আসনে এ গাড়িতে আছে ৩ দশমিক ২ লিটার ভি৬ ডিজেল ইঞ্জিন। এ গাড়ি কিনতে এমবাপ্পেকে খরচ করতে হয়েছে ৭৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এখনকার বাজারে অন্যতম জনপ্রিয় এসইউভি ভক্সওয়াগন টিগুয়ান। সাধারণত তারকাদের নামের সঙ্গে এ গাড়ি তেমন একটা শোভা পায় না। বরং সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই থাকে এ গাড়ি। কিন্তু সাধারণ চলাফেলার জন্য এমবাপ্পের পছন্দ এটাই। যেকোনো কাজে নিয়মিতই তাঁকে এ গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা যায়। মাত্র ৫৭ লাখ টাকার এ গাড়ি যেকোনো রাস্তাতেই চলনসই। সে কারণেই কিনা নিয়মিত চলাচলের জন্য এ গাড়িতেই স্বাচ্ছান্দ্যবোধ করেন তিনি।
পাঁচ আসনের এই এসইউভি কিলিয়ান এমবাপ্পের সংগ্রহে যুক্ত হয়েছে গত বছর। গাড়িতে আছে ৩ লিটার ভি৬ ডিজেল ইঞ্জিন। সেই সঙ্গে ৪ লিটার টুইন টার্বো ভি৮। এমবাপ্পের গাড়ির তালিকায় এত ভক্সওয়াগন কেন? অনেকে ভাবতে পারেন, এত নামীদামি ফুটবলার কেন ভক্সওয়াগনকেই সব সময়ের সঙ্গী বানান? এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে ফরাসি ফুটবল সংস্থা। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স ফুটবলের গাড়ির স্পনসর ওই ভক্সওয়াগন। যে কারণে এমবাপ্পে না চাইলেও তাঁর গাড়ির তালিকায় এ ব্র্যান্ড থাকবেই।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ফুটবলারের সংগ্রহে ফেরারি থাকবে না, এমনটা কি সম্ভব? প্রায় ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচ করে গত বছর নিজের সংগ্রহে এ গাড়ি যোগ করেছেন এমবাপ্পে। টাকার অঙ্কটা তাঁর এক সপ্তাহের বেতনের থেকেও কম। ০ থেকে ৬০ মাইল গতি তুলতে এই গাড়ির সময় লাগে মাত্র ২ সেকেন্ড। যদিও প্রকাশ্যে কখনো এ গাড়ি নিয়ে চলতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এ গাড়ির মালিক যে তিনি, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
এমবাপ্পের সংগ্রহের সবচেয়ে দামি গাড়ি ফেরারি পিস্তা। প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে এ গাড়ি নিজের গ্যারেজে ভিড়িয়েছেন এমবাপ্পে। ৩ দশমিক ৯ লিটার টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিনের এ গাড়ি ০ থেকে ৬০ মাইল গতি তুলতে পারে মাত্র ২ সেকেন্ডে। সুপার কারের তালিকা করলে ফেরারির এ মডেল থাকবে ওপরের দিকেই। এ ছাড়া গুঞ্জন আছে, এমবাপ্পের সংগ্রহে আছে অডি, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ি। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় কখনো তাঁকে এসব গাড়িতে চড়তে দেখা যায়নি। ভেবে দেখুন, গাড়ি চালানোর অনুমতি না পেয়েই যতটা গাড়িপ্রেম, অনুমতি পেলে তা কত গুণ বেড়ে যাবে!