একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ক্লাসের পড়ার ভীষণ চাপ থাকে। কিন্তু সিলেবাসের বাইরেও এমন অনেক কিছু আছে, যা ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য দারুণ কাজে দেবে। কিছু সুযোগের খোঁজ জানাচ্ছেন জাহিদ হোসাইন খান
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যও বেশ কিছু অলিম্পিয়াডে যোগ দেওয়ার সুযোগ আছে। এসব অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা পরে দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
উল্লেখযোগ্য অলিম্পিয়াডগুলোর মধ্যে আছে—
গণিত অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড
এশিয়া প্যাসিফিক গণিত অলিম্পিয়াড
ইরানিয়ান কম্বিনেটরিকস অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অলিম্পিয়াড
ইংলিশ অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড (একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত)
ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াড-বাংলাদেশ ওপেন রাউন্ড
নিউজ পেপার অলিম্পিয়াড ইত্যাদি
ফেসবুকে সংশ্লিষ্ট অলিম্পিয়াডের পেজ থেকেই সব তথ্য পেয়ে যাবে।
গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, কম্পিউটার কোডিং ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সামার স্কুলে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে (এইউডব্লিউ)। এইউডব্লিউর সামার স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য বলছে, এ বছরের সামার স্কুল ১ জুলাই শুরু হয়ে ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। অতএব যারা অংশ নিতে চাও, চাইলে পরের সেশনের প্রস্তুতি নিতে পারো। বিস্তারিত এখানে।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিল্ডিং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবেও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ক্যাম্পে অংশ নিতে পারে। সারা বছরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার জন্য এখানে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। বিস্তারিত এই লিংকে।
অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সহায়তা করে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা ও স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তিসহায়তা দেওয়া হয়। বিস্তারিত পাওয়া যাবে এখানে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের টিচিং সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি শিক্ষার কোর্স করানো হয়। কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, বিজনেস ইংলিশ, জেনারেল ইংলিশ, ইয়ং লার্নারস কোর্স ইত্যাদি। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
ভাষা শেখার নানা রকম সুযোগ আছে। কোথায়? এখানে কয়েকটার উল্লেখ থাকল:
সরাসরি কোরিয়ান শিক্ষকদের কাছ থেকেই কোরিয়ান ভাষা শিখতে পারো ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) কিং সেজং ইনস্টিটিউট ঢাকাতে। কোরিয়ান সরকার স্বীকৃত সনদের অংশ হিসেবে বেসিক থেকে ইন্টারমিডিয়েট লেভেল পর্যন্ত কোর্স করা যাবে। ফ্রি টেক্সটবুক ও প্র্যাকটিস বুক থাকছে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিস্তারিত জানা যাবে এই নম্বরে: ০১৭৬৭৮০৩০৫৩
চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার জন্য কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারো। বর্তমানে এই ইনস্টিটিউট বা ‘কনফুসিয়াস ক্লাসরুম’ চালু আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে। ৬ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদে অনলাইন ও অফলাইন কোর্স করা যায়। এইচএসসির পর যারা চীনের সরকারি বৃত্তিসহ সেই দেশে পড়তে যেতে যাও, তাদের জন্য কনফুসিয়াস সেন্টার বেশ কাজের। বিস্তারিত এই লিংকে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের সাংস্কৃতিক ও ভাষা শেখার কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্রের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। পাবে লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগও। আমেরিকান কর্নার ও ইএমকে সেন্টারের সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারো। এখান থেকে বিভিন্ন বিদেশি ভাষার বইপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। এ ছাড়া সিনেমা, আলোকচিত্র, রোবোটিকসসহ নানা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ আছে। সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রামের আমেরিকান কর্নারে সদস্যপদ নেওয়া যায়। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার অংশ নিতে পারবে। বিস্তারিত এই লিংকে।
ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, গ্যোটে ইনস্টিটিউট, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকাতে বইপড়া কার্যক্রম থেকে শুরু করে ভাষাশিক্ষা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, উচ্চশিক্ষা–সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার, বিজ্ঞান ও শিল্পসংস্কৃতি–বিষয়ক ওয়ার্কশপ নিয়মিত আয়োজন করা হয়। উন্মুক্ত এসব আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর সুযোগ আছে। লিংকগুলোও দিয়ে রাখি—আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, গ্যোটে ইনস্টিটিউট, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা।