প্রতিদিন সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, নাইট ক্রিম—ত্বকের ওপর পণ্যের চাপ কম নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে ত্বকও চায় একটু বিরতি। এই ভাবনা থেকেই এসেছে স্কিন ফাস্টিং। আরও পরিষ্কার করে বললে, স্কিন ফাস্টিং মানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার বন্ধ বা খুব সীমিত করা, যাতে ত্বক নিজস্ব নিয়মে কাজ করার সুযোগ পায়।
স্কিন ফাস্টিংয়ের ধারণাটি এসেছে জাপান থেকে। এতে বলা হয়, নিয়মিত নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও সুরক্ষাস্তর দুর্বল হতে পারে। মাঝেমধ্যে সব পণ্য ব্যবহার বন্ধ রাখলে ত্বক নিজেই তার ভারসাম্য ফেরানোর চেষ্টা করে। এটা এক দিন, সপ্তাহে এক রাত বা কারও ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য করা যায় ত্বকের ধরন বুঝে।
রাতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে কোনো পণ্য ব্যবহার না করে ঘুমান।
শুরুতে সপ্তাহে এক রাতই যথেষ্ট।
পরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
দিনের বেলা বাইরে গেলে হালকা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
যাঁরা অনেক বেশি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন।
যাঁদের ত্বক হঠাৎ ব্রণ, জ্বালা বা অতিরিক্ত শুষ্কতায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
যাঁরা বুঝতে পারছেন না, কোন পণ্যটি ত্বকের জন্য সমস্যা করছে।
তবে যাঁদের ত্বক খুব শুষ্ক বা সংবেদনশীল, তাঁদের ক্ষেত্রে স্কিন ফাস্টিং সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণে সাহায্য করতে পারে।
অতিরিক্ত পণ্যের কারণে হওয়া জ্বালা বা ব্রণ কমতে পারে।
ত্বককে ‘রিসেট’ করার সুযোগ দেয়।
এ বিষয়ে শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো নেই। তবে অনেকের ক্ষেত্রে পণ্যের চাপ কমালে ত্বক স্বস্তি পায়, এটাই মূল কথা।
স্কিন ফাস্টিংয়ের সময় প্রচুর পানি খান।
খুব শুষ্ক আবহাওয়ায় বেশি দিন স্কিন ফাস্টিং না করাই ভালো।
সপ্তাহে একবারের বেশি না করাই নিরাপদ।
কোনো চিকিৎসাধীন ত্বক বা কেমিক্যাল পিলের পর স্কিন ফাস্টিং করবেন না।
অস্বস্তি হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন।
স্কিন ফাস্টিং মানে স্কিন কেয়ার বাদ দেওয়া নয়, বরং ত্বককে মাঝেমধ্যে ছুটি দেওয়া। নিয়মিত যত্ন যেমন দরকার, তেমনি বিশ্রামও জরুরি।
ত্বক যদি অতিরিক্ত পণ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন এক ধাপ পিছিয়ে এসে স্কিন ফাস্টিং অনেক সময় ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সন্দেহ হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সূত্র: স্ক্রিনক্র্যাফট