
ডেজার্ট হিসেবে কেকের সমাদর দুনিয়াজোড়া। যেকোনো উদ্যাপনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীক হয়ে উঠেছে কেক। জন্মদিন, গায়েহলুদ, বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, নবীনবরণ, বিদায় অনুষ্ঠান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান—কোনো আয়োজন যেন কেক ছাড়া ভাবা যায় না। এ তো গেল আনুষ্ঠানিক আয়োজনের কথা। অনুষ্ঠান-উৎসব ছাড়া কেবল খাওয়ার জন্যই কেক খাওয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখা যায়। উপলক্ষ অনুযায়ী কেকের গায়ে বিভিন্ন কথা লেখার চল রয়েছে। দিন কতক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি কেকের ছবি দেখে বেশ মজাই লেগেছিল। উপলক্ষহীন সেই কেকের গায়ে লেখা ছিল ‘এমনি বাসায় খাব’। স্মরণীয় করে রাখতে কেকের অভিনব সব নকশাও দেখা যায়। উপলক্ষ, ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য বা পেশাভেদে দারুণ সৃজনশীলতার ছাপ দেখা যায় কোনো কোনো কেকে।
চকলেট, ভ্যানিলা, রেড ভেলভেট, ম্যুজ, স্পঞ্জ, ফ্রুট কেকের ধরনেরও যেন হিসাব নেই।
খাদ্য–গবেষকদের মতে, ডেজার্ট হিসেবে কেকের প্রথম প্রচলন হয় প্রাচীন গ্রিস ও মিসরে। আর ‘কেক’ শব্দটি এসেছে প্রাচীন নর্স শব্দ ‘কাকা’ থেকে। কেক নিয়ে পৃথিবীর নানা দেশে নানা রকম সংস্কার চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্রে একটি পুরোনো কথা চালু আছে—বালিশের নিচে ফ্রুট কেক রাখলে ভালো স্বামী পাওয়া যায়।
আজ ২৬ নভেম্বর, কেক দিবস। কবে, কীভাবে দিবসটির চল হয়েছে, জানা যায় না। তাতে কি! যাঁরা কেক ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আজকের দিনটি হতে পারে দারুণ এক উপলক্ষ। কত উপলক্ষেই তো কেক কাটা হয়, আজ নাহয় কেকের জন্যই কেক কাটা হোক।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে