
ইনস্টাগ্রামে লুইস গানসন নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের পোস্ট ভাইরাল। সেই পোস্টের শিরোনাম ‘আমি একজন পকেটমারকে জিজ্ঞেস করেছি, তাঁরা কাদের টার্গেট করেন। উত্তর শুনে আমি তখনই নিজের জ্যাকেট বদলেছি।’ পোস্টটি ইতিমধ্যে ১২ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। লুইস সম্প্রতি একজন পকেটমারের সঙ্গে কথা বলেছেন। লুইস সেই পকেটমারের কাছে জানতে চেয়েছেন যে তাঁরা (পকেটমাররা) কাদের নিশানা বানান? উত্তরটা জানলে আপনি বাইরে যাওয়ার আগে আপনার পোশাক নিয়ে আরেকবার ভাববেন।
হয়তো ভাবতে পারেন, যাঁদের দেখে মনে হয় ধনী, পকেটমাররা তাঁদেরই লক্ষ্য করে। আসলে পকেটমার সাধারণত এমন মানুষদের টার্গেট করে, যাঁদের কাছ থেকে চুরি করা সবচেয়ে সহজ। তাঁদের ‘ধনী দেখায় কি না’, সেটা দেখে না, বরং দেখে, কে সবচেয়ে অসাবধান। পকেটমার সাধারণত কাদের পকেট মারে, জেনে নিন।
১. যাঁরা ফোনে ব্যস্ত থাকেন
বারবার ফোন চেক করলে বা হাঁটতে হাঁটতে ফোনে ডুবে থাকলে অন্য দিকে মনোযোগ থাকে না। আর পকেটমার সেই দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নিতে ভুল করে না।
২. যাঁরা পেছনের পকেটে টাকা রাখেন বা ব্যাগের চেইন খোলা থাকে
পেছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ বা টাকা রাখার অর্থ হলো পকেটমারদের নীরব ইশারায় ডেকে আনা। লুইস যে পকেটমারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তিনি বলেছেন, ‘পেছনের পকেটে যা কিছু, আমরা মনে করি সেসব আমাদের। আর কারও ব্যাগের চেইন খোলা মানে সেটা তো আমাদের জন্য একদম ফ্রি! যে (পকেটমার) নিতে পারল না, সেটা তার নিতান্তই ব্যর্থতা।’
৩. যাঁরা ঢিলেঢালা পোশাক বা জ্যাকেট পরেন
কেননা ঢিলেঢালা কাপড়ে হাত ঢুকিয়ে চট করে কিছু নেওয়া সহজ। আবার ভুক্তভোগীদের পক্ষে টের পাওয়াও কঠিন।
৪. যাঁদের চিন্তিত বা বিভ্রান্ত দেখায়
অন্য কিছুতে ব্যস্ত থাকায়, চারপাশে খেয়াল না করায় সহজেই অনেকে পকেটমারের শিকার হয়ে যান।
৫. যাঁরা সব সময় ব্যস্ত
তাড়াহুড়া করলে চারপাশ দেখা হয় না, খেয়াল থাকে না। পকেটমারেরা সেই সুযোগই লুফে নেয়।
৬. যাঁরা পাবলিক প্লেসে নিজের মূল্যবান জিনিস স্পর্শ করে
এতে চোর বুঝে যায়, জিনিসটা ঠিক কোথায় আছে।
৭. যিনি দলে থেকেও অসাবধান থাকেন
এটা পকেটমারদের জন্য দারুণ সুযোগ। দলবদ্ধ ও অমনোযোগীরা পকেটমারদের অন্যতম সহজ টার্গেট। কেননা পাশে কেউ এলেও ভুক্তভোগীরা আলাদা করে খেয়াল করেন না। চুরির অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত টেরও পান না। ফলে সহজে পকেটমার কাজ সেরে দিব্যি নিরাপদ জায়গায় সটকে পড়তে পারে।