১৭৮৯ সালে শুরু হওয়া ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র ছিল স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব। তার সঙ্গে মিল রেখে এবার প্যারিস ফ্যাশন উইকের থিম হলো স্বাধীনতা, সাম্য ও ভগিনীত্ব (লিবার্টি, ইকুইটি অ্যান্ড সিস্টারহুড)। অবশ্য ফ্যাশন তো একটা বিপ্লবই বটে, আর তার রাজধানী যে প্যারিস!এ বছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে উদ্যাপিত হচ্ছে টেকসই ফ্যাশন ও নারীর শক্তি।প্রায় দুই দশক ধরে ল’রিয়েল কসমেটিকসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই।আর ২০ বছর ধরেই প্যারিস ফ্যাশন উইকের চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি।এবার ঐশ্বরিয়া দেখা দিলেন একটু ভিন্ন রূপে।কেননা এবার ৫১ বছর বয়সী এই বিশ্বসুন্দরীর পরনে ছিল শেরওয়ানি।শেরওয়ানি সাধারণত পুরুষেরা বিয়ে বা এ রকম জাঁকজমক অনুষ্ঠানে পরেন। তবে ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা কোট-প্যান্ট বা শার্টের মতো শেরওয়ানিকেও কোনো লিঙ্গবৈষম্যে আটকে রাখতে চান না।শক্তি, ক্ষমতা আর আধুনিক টেকসই ফ্যাশনের প্রতিনিধিত্ব করে এই শেরওয়ানি।এর আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকে কোনো নারীকে শেরওয়ানি পরে হাঁটতে দেখা গেছে কি না, বলা মুশকিল।কালো শেরওয়ানিটি আপাদমস্তক হীরায় মোড়ানো। দুই হাতায় ১০ ইঞ্চি হীরার পাথর বসানো হয়েছে।শেরওয়ানিটির সামনে আছে কয়েক শ হীরা ও পান্নাখচিত ব্রুজ।পেছনেও আছে ভারী হীরার কারচুপির কাজ। পেছনে আদতে একটা বড় হীরার নেকলেস জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পোশাকেই যে পরিমাণ হীরা পরেছেন ঐশ্বরিয়া, তাই আর আলাদা করে গলায় বা কানে কোনো হীরার গয়না পরেননি। চুলগুলোকে দিয়েছিলেন অবাধ স্বাধীনতা।তবে দুই হাতের চার আঙুলে হীরার আংটি ছিল। মেকআপ যেটুকু না করলেই নয়, তবে গত কয়েক বছরের মতো বোল্ড লিপস্টিক ছিল ঠোঁটে।ঐশ্বরিয়া দর্শককে নমস্কার দিয়েছেন, হাত নেড়ে ছুড়ে দিয়েছেন উড়ন্ত চুমু।শেরওয়ানির হীরাগুলোর মতোই শক্তি আর ঐশ্বর্যে ঝলমল করুক নারীরা, এই বার্তাই দিতে চান ঐশ্বরিয়া।