Thank you for trying Sticky AMP!!

ওমেগা ৩: কেন খাবেন, কী খাবেন

.

আজকাল ওমেগা ৩ খাবার নিয়ে বেশ হইচই। এমনকি অনেকে নিয়মিত দোকান থেকে ওমেগা ৩ ক্যাপসুল কিনে খান। কেননা এটি নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এই ওমেগা ৩ আসলে কেন খাওয়া দরকার?
ওমেগা ৩ আসলে অসম্পৃক্ত চর্বি। আমরা জানি, সম্পৃক্ত চর্বি হৃদ্যন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার তাই খেতে মানা। কিন্তু অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেতে বাধা নেই, বরং এটি রক্তের উপকারী চর্বির পরিমাণ বাড়ায় এবং আদতে উপকারই করে। কয়েক ধরনের ওমেগা ৩ চর্বি আছে প্রকৃতিতে। এর মধ্যে আলফা লিনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় কিছু উদ্ভিজ্জ খাবার বা তেলে। ইকোসা প্যান্টনোয়েক অ্যাসিড এবং ডোকোসা হেক্সোনোয়েক অ্যাসিড পাওয়া যায় সামুদ্রিক খাবারে।
আসুন, জেনে নিই প্রাকৃতিকভাবে কোন ধরনের খাবারে ওমেগা ৩ চর্বি বেশি।
-উদ্ভিজ্জ তেলে ওমেগা ৩ চর্বি আছে। এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো হলো তিসির তেল ও ক্যানোলা তেল। যা আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় না। তবে সয়াবিন তেলেও আছে কিছুটা। তবে এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করতে হবে।
-সামুদ্রিক মাছের তেল ওমেগা ৩-এর চমৎকার উৎস। দেশীয় মাছের মধ্যে ইলিশ, রুপচাঁদা ইত্যাদি মাছের তেলে এর পরিমাণ বেশি।
-বিভিন্ন ধরনের বাদামে বেশ ওমেগা ৩ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে ওয়ালনাট বা আখরোট, পেস্তা ইত্যাদি বাদামে। প্রতিদিন একটু বাদাম ওমেগা ৩ জোগাবে।
-মাছের ডিমে ক্ষতিকর চর্বির সঙ্গে ওমেগা ৩ উপকারী চর্বিও আছে বেশ ভালো পরিমাণে। ১ চামচ মাছের ডিমে প্রায় ৩৪২ মিলিগ্রাম পরিমাণ ওমেগা ৩ পাওয়া যায়।
-কিছু বীজজাতীয় খাবারেও ওমেগা ৩ আছে।