ভালো থাকুন

নারী ৪০ পেরোলে

.

৪০ বছর পেরোনোর পর একজন নারীর রক্তে হরমোনের মাত্রার হেরফের হতে থাকে। প্রজনন বয়স পেরিয়ে যায় এবং স্বাভাবিক নিয়মে একসময় তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়কে বলা হয় মেনোপজ। মেনোপজের আগে-পরে অনেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অনিয়মিত রক্তক্ষরণ সমস্যায় ভোগেন। অনেকেই একে স্বাভাবিক বলে ধরে নেন, অথবা সংকোচে মুখ খোলেন না। কিন্তু এটা হতে পারে জটিল কোনো রোগের পূর্ব লক্ষণ।
একজন নারী ৪৫ বছর পেরোনোর পরই ধীরে ধীরে মেনোপজের দিকে এগোতে থাকেন। সাধারণত ৫০ বছরের কাছাকাছি সময়ে মেনোপজ হয়ে থাকে। মেনোপজের আগে কয়েক মাস ধরে মাসিক কিছুটা অনিয়মিত হতে পারে। আবার জরায়ু ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগের সময়ও এটা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জরায়ু ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা ও আরও কিছু জটিল রোগের পূর্ব লক্ষণ। তাই মেনোপজ হওয়ার আগের বয়সটাতে যেকোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাসিক হলে কিংবা মাসিকের সময় চাকা চাকা রক্ত গেলে এটিকেও আমলে নিতে হবে। এ সমস্যাগুলোকে অবহেলা করা যাবে না। এক বছর পর্যন্ত মাসিক বন্ধ থাকার পর, অর্থাৎ মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পর যদি কারও আবার অল্প পরিমাণেও রক্তপাত হয়, সেটিকেও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মেনোপজের আগে বা পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে একজন বয়স্ক নারী ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে যেতে থাকেন। দুর্বলতা, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, মাথা ঘোরানো, বুক ধড়ফড় করাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। মা, শাশুড়ি বা আপনজন হয়তো সংকোচে তাঁর মাসিক-সংক্রান্ত এসব সমস্যার কথা সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখছেন এবং বড় কোনো রোগকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দ্বিধা ও সংকোচ কাটিয়ে উঠে সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার সাহায্য নিন।
ডা. তাওফিকা হোসাইন
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

>

স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে কি শল্যচিকিৎসা করাতে হবে?
টিইউআরপিকে ‘রোটো রুটার’ সার্জারিও বলে
প্রোস্টেটে হালকা থেকে গুরুতর সমস্যা থাকলে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রচলিত অস্ত্রোপচারটির নাম টিইউআরপি। মূত্রনালির ভেতরে এই শল্যচিকিৎসায় প্রোস্টেটের বাড়তি টিস্যু অপসারণ করা হয়।