
কানে ব্যথা শিশুদের একটি পরিচিত সমস্যা। বেশির ভাগ সময় ব্যথাটা এক কানে হতে দেখা যায়। তবে দুই কানেও হতে পারে। বড়দের তুলনায় গঠন ভিন্ন হওয়ায় ছোটদের কানে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ৬ থেকে ১২ মাস এবং ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কানের ব্যথা বেশি দেখা যায়।
কানে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। যেসব শিশু সিগারেটের ধোঁয়া বা বায়ুদূষণের শিকার হয়, যাদের ফিডার বা বোতলে দুধ খাওয়ানো হয়, যেসব শিশু ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বাস করে, যাদের অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা অ্যালার্জির কারণে বারবার সর্দি–কাশি হয়, তারা এ সমস্যায় বেশি ভোগে। এ ছাড়া যেসব শিশুর জন্মগত তালুকাটা সমস্যা আছে, তাদের কানের ব্যথা বেশি হতে পারে।
উপসর্গ
১. কানে অস্বস্তি বা ব্যথা যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
২. কানে ব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পূর্বে শিশু সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে।
৩. অস্থিরতা, বারবার কান্নাকাটি, ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৪. ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার কানে হাত দেওয়া। বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কানে কম শোনা।
৫. জ্বর।
৬. কান থেকে পুঁজ বা রক্ত আসা।
করণীয়
১. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণ ব্যথার ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।
২. কান চুলকানো যাবে না।
৩. কটন বাড, কাঠি বা অন্য কিছু দিয়ে কান পরিষ্কার করা যাবে না।
৪. কানে পানি ঢোকানো যাবে না। গোসলের আগে কানে তুলা দিয়ে ভালো করে কান আটকে দিতে হবে।
৫. বারবার গরম কাপড় দিয়ে কানে সেঁক দিতে হবে।
৬. বড় শিশুদের চুইংগাম চিবাতে দিতে পারেন।
৭. বড় শিশুরা গরম পানি ও মেন্থল মিশিয়ে ভাপ নিতে পারে।
৮. ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
লেখক: মেডিকেল অফিসার, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা