আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অসুস্থতা নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যে হালকা জ্বর, মাথাব্যথা বা হজমের সমস্যা হতেই পারে। অনেক সময় আমরা ব্যস্ততা বা অবহেলার কারণে এসব লক্ষণকে গুরুত্ব দিই না। তবে কিছু উপসর্গ আছে, যেসব কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, এসব উপসর্গের পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে মারাত্মক রোগের ইঙ্গিত।
ডায়েট না করে বা শরীরচর্চা না করেও যদি অল্প সময়ের মধ্যে ওজন অনেক কমে যায়, তাহলে সেটা হতে পারে ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় চলা কাশি, বিশেষ করে যদি সঙ্গে রক্ত আসে, তাহলে এটি যক্ষ্মা বা ফুসফুসের ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।
হালকা ব্যথা বা ভারী চাপের মতো, যেমনই হোক, বুকের যেকোনো অস্বাভাবিক অনুভূতি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
হঠাৎ করে মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা অচেতন হয়ে পড়া হতে পারে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের সমস্যা বা স্ট্রোকের লক্ষণ।
একটানা সাত দিন বা তার বেশি সময় জ্বর চলতে থাকলে তা কোনো সংক্রামক রোগ বা বড় ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি সঙ্গে ঘাম, দুর্বলতা ও ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকে।
প্রস্রাবে অস্বাভাবিকতা কিডনি, মূত্রনালি বা প্রোস্টেটের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রয়োজন।
হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া হতে পারে চোখের রোগ বা স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ।
হাত, পা, মুখ বা শরীরের এক পাশ হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া বা মুখের এক পাশ বাঁকা হয়ে যাওয়া টিআইএ বা পূর্ণ স্ট্রোকের ইঙ্গিত।
বিশ্রামের পরও যদি ক্লান্তি না কাটে এবং হালকা কাজেও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে তা হৃদ্যন্ত্র বা ফুসফুসের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
হঠাৎ করে কথা জড়িয়ে যাওয়া স্ট্রোকের লক্ষণ, এটাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
পিঠে বা কোমরে ব্যথা হয় অনেকেরই। কিন্তু যদি হঠাৎ তীব্র ব্যথা হয়, বয়স যদি খুব কম বা বেশি হয়, সঙ্গে ওজন কমে যাওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শরীরের প্রতিটি উপসর্গই কোনো না কোনো সংকেত বহন করে। সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেক বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। তাই নিজের শরীরকে অবহেলা না করে সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।