‎খাবার, পানি ও পোশাকের সংকটে কড়াইলের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা

‎২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কড়াইল বস্তির বউবাজার অংশের কুমিল্লাপট্টি, বরিশালপট্টি ও ‘ক’ ব্লকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শিশুদের নিয়ে নানান রকম দুর্ভোগে পড়েছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে এসে শিশুদের দুর্ভোগের ছবি তুলে ধরলেন সুরাইয়া সরওয়ারফারদীন–ই–হাসান

‎নিজেদের পোড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপে খেলছে শিশু ফাতেমা (৩) ও জান্নাত (১)
কড়াইলের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা
‎এক দিন আগেও এখানে তাদের ঘর ছিল
‎তিন বছরের শিশু জুনাইদকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গার্মেন্টসকর্মী মা পপি আক্তার
সন্তান বুকের দুধ পায় না। টাকাও নেই দুধ কেনার। বস্তিবাসী আরেকজন (তাঁদের বাড়ি আগুনে পোড়েনি) কিছুটা দুধ গরম করে দিয়েছেন। সেটাই ছয় মাস বয়সী সন্তান রাফসানকে খাওয়াচ্ছেন মা রহিমা বেগম (২৬)
এক বছর বয়সী রাবেয়া আক্তারের মা স্মৃতি আক্তার (২২) ও বাবা ‎খোরশেদ আলম (২৯)। তাঁরা জানান, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন খাবার দিয়ে সাহায্য করলেও তার মধ্যে নেই শিশুদের খাবার
‎আগুন লাগার সংবাদ সংগ্রহে রাত থেকেই ছিল সাংবাদিকদের আনাগোনা। তারই অনুকরণ করছে শিশু দুটি
নিজেদের পোড়া বাড়ির কয়লা নিয়ে খেলছিল শিশু ফুহাদ (৬)
‎বস্তির এক ঘরের ছাদে দাঁড়িয়ে এক দিন আগে পুড়ে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখছে শিশুটি
কাঁথায় মোড়ানো তিন বছরের শিশু জুনাইদ। খোলা আকাশের নিচে এভাবেই থাকতে হচ্ছে বস্তিবাসী শিশুদের। রাতে ঠান্ডায় বাড়ে দুর্ভোগ
বাবার কোলে রাবেয়া আক্তার (১)। বাবা খোরশেদ আলম ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় এক হাত হারিয়েছেন। এক হাতে মেয়েকে কোলে নিয়ে দেখছেন আগুনে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ঘর