প্রথম আলোর রোববারের ক্রোড়পত্র—স্বপ্ন নিয়ে। শুরু হয়েছে স্বপ্ন নিয়ের বিশেষ আয়োজন ‘ক্যাম্পাস ক্যানভাস’। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক ক্যানভাসে তুলে ধরা হয় একটি ক্যাম্পাসের আদ্যোপান্ত। ক্যাম্পাস ক্যানভাসের প্রথম পর্বে স্থান পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি)। পড়ুন আইইউবিএটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মন্তব্য।

‘ড. মিয়ান বৃত্তি’র আওতায় আমি আইইউইবিএটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। নতুন দেশ, নতুন সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। তবে এখানে এসে নিজেকে প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। বেড়েছে আত্মবিশ্বাস ও সহনশীলতা। সবচেয়ে বড় কথা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যরা খুব আন্তরিক। সবাই আমাকে সহজে গ্রহণ করেছেন। নার্সিংয়ে পড়া সব সময়ই আমার প্যাশন ছিল। বিদেশে এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে তাই হাতছাড়া করিনি। এখানকার পড়াশোনা শেখানোর পদ্ধতি আমার দেশ থেকে আলাদা, কিন্তু খুব সহজেই খাপ খাইয়ে নেওয়া যায়। তাই বলতেই পারি, আইইউইবিএটি আমাকে সঠিকভাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করছে।কার্মা লাজিন, ভুটানের শিক্ষার্থী, নার্সিং বিভাগ, আইইউবিএটি
বাবার অনুপ্রেরণায় এই বিভাগে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার বাবা দীর্ঘ ২৫ বছর কাজ করেছেন অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই সুবাদে আমারও কয়েকটি দেশ ঘোরার সুযোগ হয়েছে। মা-বাবার সঙ্গে থেকেছি বিভিন্ন পাঁচ ও চার তারকা মানের হোটেলে। সেখানে কর্মরতদের পেশাদারত্ব, কর্মদক্ষতা, কর্মপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করেছি। তখনই মাথায় ঢুকেছিল, এ ধরনের পেশায় আসতে এই বিষয়ে পড়তে হবে। এরপর বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ নিয়েছি। মনে হয়েছে, আইউবিএটির সুযোগ-সুবিধা বেশ ভালো। চারটি ভিন্ন ল্যাবের মাধ্যমে ব্যবহারিক ক্লাস এবং সরাসরি নামী হোটেলে পরিদর্শন আমাদের সঠিকভাবে শিখতে সাহায্য করে।হামিদা আক্তার, শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, আইইউবিএটি
আমি আইইউবিএটির কলেজ অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সোসাইটির সদস্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগেই একটি করে সোসাইটি আছে। এগুলো বিভাগের সঙ্গেই কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হন, শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এতে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে; তেমনি আমরা বুঝতে পারি ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চাই। আমরা আমাদের বিভাগ–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করি। পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনারের আয়োজন তো আছেই। আমি মনে করি, এসব সোসাইটিতে যুক্ত থাকলে শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ থাকে, যা জ্ঞান অর্জনের সুযোগ বাড়ায়।নুশরাত জাহান, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ, আইইউবিএটি
বাংলাদেশের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। মানুষও অতিথিপরায়ণ। সহজেই আপন করে নেয়। আমি এখানে পুরকৌশল বিভাগে পড়ছি। আমার মনে হয়, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট আন্তরিক। পড়ালেখার মানও ভালো। সার্বিক দিক থেকেই আমার অভিজ্ঞতা ভালো। আমি এই দেশের সংস্কৃতি, জীবনব্যবস্থা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করছি। আমার কাছের এক আত্মীয়ের পরামর্শেই এখানে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এক বছর এখানে পড়ে আমি বলতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।আবদুর রাজ্জাক মোহাম্মাদ, কেনিয়ার শিক্ষার্থী, পুরকৌশল বিভাগ, আইইউবিএটি
যাঁরা কৃষিতে স্নাতক করতে আগ্রহী, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান না, তাঁরা কোথায় যাবেন? তাঁদের জন্যই আইইউবিএটি ১৯৯৬ সালে কৃষি বিভাগ চালু করে। আমি গর্বের সঙ্গে বলি, আমাদের বিভাগের সব শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি আছে। মাঠ গবেষণা ও ব্যবহারিক সুবিধাসহ আমাদের পড়াশোনা বেশ যুগোপযোগী। আছে সহশিক্ষা কার্যক্রমও, যা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ভালো করতে সহায়তা করে। কৃষির শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বরাদ্দ মাঠেই আমরা ব্যবহারিক ক্লাস করি। এ ছাড়া রাজেন্দ্রপুরেও আমাদের কৃষি খামার আছে। প্রতি সপ্তাহে সেখানে গিয়ে আমরা গবেষণা করার সুযোগ পাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ হিসেবে আইইউবিএটি থেকে আমি যতটা আশা করেছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। তাই আমার মনে হয়, আমার এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।পাইং ম্রা চিং, শিক্ষার্থী, কৃষি বিভাগ, আইইউবিএটি