বর ভারতের, কনে কোরীয়, দেখা সিঙ্গাপুরে, বিয়ে গ্রিসের নির্জন দ্বীপে

প্রেমের সম্পর্কে দেশের সীমানা, ধর্ম, সংস্কৃতি—এসব বিষয় ক্রমেই গৌণ হয়ে উঠছে। বাড়ছে ‘মাল্টি কালচারাল’ বিয়ে। গত সেপ্টেম্বরে গাঁটছড়া বাঁধলেন ভারতের গুজরাটের কেভিন বাখদা ও কোরীয় তরুণী মিয়া কাং। তাঁদের প্রথম দেখা সিঙ্গাপুরে, বিয়ে হলো গ্রিসের নির্জন দ্বীপে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ‘মাল্টি কালচারাল’ বিয়ে।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
প্রেমের সম্পর্কে দেশের সীমানা, ধর্ম, সংস্কৃতি—এসব বিষয় ক্রমেই গৌণ হয়ে উঠছে।
সেপ্টেম্বরে গাঁটছড়া বাঁধলেন ভারতের গুজরাটের কেভিন বাখদা ও কোরীয় তরুণী মিয়া কাং।
কেভিন পেশায় ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট ও মিয়া অন্দরসজ্জাবিদ।
কেভিন ও মিয়া দুজনেই কাজের সূত্রে থাকেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেই বছর চারেক আগে একটা পার্টিতে প্রথম দেখা এই জুটির।
এজিয়ান সাগরের উপকূলে গ্রিসের ফোলেগান্ড্রোস দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট নির্জন যে দ্বীপে এই দুজন বিয়ে করেছেন, সেখানে মানুষের বসতি নেই বললেই চলে। নৌকায় করে ঘুরতে ঘুরতে অনেকে দ্বীপটিতে যান।
কেভিন ও মিয়া একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে অল্প কিছু আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে মিনিমালিস্ট আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে চেয়েছিলেন।
গুজরাটি ও কোরীয়, সনাতনী ও খ্রিষ্টীয় রীতি মেনে হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
ভোগ সিঙ্গাপুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেভিন বলেন, ‘ভালোবাসা মানে কেবল একজন আরেকজনকে গ্রহণ করা নয়, বরং অপরজনের সংস্কৃতি, রীতিনীতি—সবকিছুকেই আপন করে নেওয়া।’
মিয়া বলেন, ‘কেভিন আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের ভাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড। প্রথম দেখায় আমাকে নাকি ওর রহস্যময় লেগেছিল। ৪ মাস পর আমরা ডেটে যাই। এর ৪ বছর পর বিয়ে করি।’
ভারত, গ্রিস, লেবানন, নেপাল ও সিঙ্গাপুর থেকে শেফ আনিয়ে হয়েছে বিয়ের রান্না। আগত অতিথিরা যাতে ঠিকমতো ‘বিয়ে খেতে পারেন’, সেই চেষ্টার কোনো ত্রুটিই রাখা হয়নি।
কোরীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক হ্যানবকে কনে।
সংগীত, মেহেদি, গায়েহলুদ, বিয়ে, পার্টি—কিছুই বাদ যায়নি।
কনের কপালে ‘তিলক’ এঁকে দিচ্ছেন কনের মা।
বরপক্ষ
কনের আগমন।
খুশিতে বর আটখানা!
সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন বর।
মালাবদল।
বর–কনে।
দুজনে সাধ মিটিয়ে সমস্ত আয়োজন, রীতিনীতি মেনে করেছেন বিয়ে।
পাখির চোখে সাগরপাড়ে এক মাল্টিকালচারাল বিয়ে।

সূত্র: ভোগ সিঙ্গাপুর