ফ্যাশন সচেতন হলে ‘আয়রন লেডি’ আনা উইন্টোরের যে ৫ ফ্যাশন–ভাবনা আপনাকে জানতেই হবে

মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে ফ্যাশনের দুনিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন আনা। তখন থেকেই তাঁকে দেখা গেছে ব্লান্ট বব ও ব্যাংগস কাট চুলে। আনা জানান, হেয়ার স্টাইলে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। তাই কেউ যদি নিজের ‘আইকনিক ইমেজ’ তৈরি করতে চান, তাহলে বারবার চুলের স্টাইল বদলালে চলবে না। নিজের মুখের আকৃতি ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই একটা চুলের কাট বেছে নিতে হবে। যেন হেয়ার স্টাইল হয়ে ওঠে ব্যক্তিত্বেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আনা উইন্টোর মনে করেন, ফ্যাশনে জুতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এককথায় একটা মানুষ ফ্যাশনেবল কি না, তা ‘জুতা দেখে যায় চেনা’। ফ্যাশন বিশ্ব ‘প্ল্যাটফর্ম শু’র বন্দনা করলেও আনা ভালোবাসেন ক্ল্যাসিক মিডিয়াম হিল আর হাঁটু পর্যন্ত উঁচু বুটজুতা। তাঁকে কখনো ওয়েজ শু বা অতিরিক্ত উঁচু হিলে দেখা যাবে না। হেয়ার স্টাইলের মতো জুতার স্টাইলও তিনি বদলাননি। দশকের পর দশক একই ধরনের জুতায় দেখা দিয়েছেন তিনি। এটি তাঁর ফ্যাশন-ব্যক্তিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের ফ্যাশনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে কালো রঙের আধিপত্য। আনাও কালো রঙের পোশাক পরেন, তবে পুরোপুরি কালোতে তাঁকে কখনোই দেখা যায় না। কালোর সঙ্গে থাকে বিপরীতধর্মী নানা রং। বোল্ড প্রিন্ট, থ্রিডি প্রিন্ট, ফ্লোরাল মোটিফ, পলকা ডট বা চেক প্রিন্টেও দেখা যায় তাঁকে।

আনা উইন্টোরের কোটের সংগ্রহ খুবই চমকপ্রদ। শ্যানেল, প্রাডা বা গিভেঞ্চির এসব সংগ্রহে একঘেয়ে ‘নিউট্রাল’ রঙের স্থান নেই বললেই চলে। ক্ল্যাসিক কাটের অ্যানিমেল প্রিন্ট বা ফ্লোরাল এমব্রয়ডারির কোটে নজর কাড়েন তিনি।

আনা সাধারণত খুব কমই গয়না পরেন। গলায় সাধারণত হীরার স্টেটমেন্ট হার পরেন। হালকা মেকআপ বা ‘নো মেকআপ লুক’–এ স্বচ্ছন্দ। এতে তাঁর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোভাবে ফুটে ওঠে। গয়না ও মেকআপ খুবই মিনিমালিস্টিক হওয়ায় তা তাঁর পোশাকের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরে।

^{সূত্র: ভোগ (যুক্তরাষ্ট্র)}