দুই মিনিট রিকশায় ঘুরে গুনতে হলো আড়াই হাজার টাকা

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কয়ারে গিয়ে রিকশাভ্রমণও করে এসেছেন ফুড ভ্লগার নুসরাত ইসলাম, সবাই যাঁকে চেনেন জলটান বিডি নামে। মার্কিন মুলুকে রিকশাভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি ছবিতে ছবিতে।

কয়েক দিন আগে গিয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গিয়ে দেখলাম আমেরিকান রিকশা।
ছবি: ভিডিও থেকে
তবে এটা আমাদের দেশের রিকশার মতো নয়, একেবারে অন্য রকম, বেশ ‘ফ্যান্সি’।
এসব রিকশা বড়সড়, আসন বেশ প্রশস্ত। তিনজন আরামসে বসা যায়।
আমাদের দেশে যেমন এক রিকশায় তিনজন মানেই একজনকে হুডে উঠতে হবেই, মার্কিন মুলুকে তেমনটা নয়।
এসব রিকশায় মিউজিকও বাজে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, আমি যে রিকশায় উঠেছিলাম, তার চালক ছিলেন নারী।
আমেরিকান রিকশাগুলোর নাম ‘পেডিক্যাব’। বেশির ভাগ সময় প্যাডেল ঘুরিয়ে চালালেও এতে মোটরও আছে।
এই রিকশায় চেপে আপনি পুরো শহর অবশ্য ঘুরতে পারবেন না।
পেডিক্যাব ভীষণ ব্যয়বহুল। মিনিট ধরে ভাড়া নেয়। ভাড়া অনেক বেশি বলে মাত্র দুই মিনিটের জন্যই উঠেছিলাম।
আর তাতেই গুনতে হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা!
পেডিক্যাব উবারের চেয়েও অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
রিকশাওয়ালার কাছে ঘড়ি থাকে, টাইমার দিয়ে হিসাব করেন তাঁরা।
তবে পেডিক্যাবে চড়ে বেশ মজা পেয়েছি। টাইমস স্কয়ারের রাস্তা একেবারে মসৃণ বলে অভিজ্ঞতাটা ছিল আরামদায়ক।
পেডিক্যাবের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এতে বসে চমৎকার সব দৃশ্য দেখা যায়।
অনেক সময় হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গেলে এই রিকশা হতে পারে ভালো বিকল্প।
মজার বিষয় হলো, রিকশায় উঠে যখন ভিডিওতে ‘এক্সপেনসিভ’ শব্দটা উচ্চারণ করেছিলাম, তখন চালক কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলেন।
তখন মনে হচ্ছিল তাঁকে বলি, ‘আপা, আমাদের দেশের রিকশা ভাড়া জানেন?’