Thank you for trying Sticky AMP!!

ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করবেন কীভাবে

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি আর একঘেঁয়েমি কাটিয়ে উঠতে অনেকেই অবসরে ভ্রমণ বেছে নেন। হতে পারে সেটা নিজের দেশে বা বিদেশে। একা অথবা বন্ধু-পরিজন নিয়ে। তবে ভ্রমণের জন্য ইচ্ছা আর পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রয়োজন অর্থ। তাই সঞ্চয় করতে হবে আগে থেকেই।

কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে খরচ কিছুটা কমে

ভ্রমণের খরচ নির্ধারণ

আপনি কোথায় ঘুরতে যাবেন, কত দিন থাকবেন, ভ্রমণসঙ্গী কতজন—এসব ঠিক করে আনুমানিক একটি খরচ বের করুন। দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে চাইলে অবশ্যই কয়েক মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করুন। সম্ভব হলে কয়েক মাস আগেই বিমান টিকিট করুন। নিজে তো করাই যায়, ভালো কোনো ট্রাভেল এজেন্টের সাহায্যও নিতে পারেন। এতে বিমানের ভাড়া কম আসবে। বিভিন্ন ভ্রমণবিষয়ক ব্লগ থেকে থাকা, খাওয়া, ঘোরার খরচ সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা নিতে পারেন। আর সেভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ

ভ্রমণের জন্য টাকা জমাতে চাইলে খুব দরকার নেই এমন খরচগুলো না করে ওই অর্থটা জমিয়ে রাখুন। অনলাইনে কিছু দেখলেই হুট করে কিনে ফেলা বা প্রায়ই রেস্তোরাঁয় না খেয়ে সঞ্চয় করুন।

Also Read: এক দিনের সফরে সিলেট যাচ্ছেন? এই পাঁচটি জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন

দেশের ভেতরেই রয়েছে ঘুরে বেড়ানোর এমন সুন্দর জায়গা

আলাদা সঞ্চয়

প্রতি মাসের প্রয়োজনীয় খরচের পর কিছু টাকা ভ্রমণ খাতে আলাদা করে জমা করতে পারেন। বাসায় একটা মাটির ব্যাংক রাখতে পারেন, যাতে পরিবারের সবাই দিন শেষে কিছু পরিমাণ টাকা জমাতে পারেন। আপনার কাছে বেশি টাকা গচ্ছিত থাকলে করতে পারেন স্বল্পমেয়াদি এফডিআর। খুলতে পারেন ডিপিএস। মেয়াদ শেষে একসঙ্গে বড় মাপের যে টাকা পাবেন, সেটা দিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করুন

হয়তো আপনার ঘরে এমন কোনো জিনিস আছে, যা কাজে লাগছে না বা একাধিক আছে, এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন। সেই অর্থ ভ্রমণে ব্যয় করুন।

Also Read: তেঁতুলিয়া থেকে দেখা অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার ৭টি ছবি

বিভিন্ন ভ্রমণবিষয়ক ব্লগ থেকে থাকা, খাওয়া, ঘোরার খরচ সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা নিতে পারেন

উপহার জমান

কোনো অনুষ্ঠান বা বিয়ে, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যদি উপহার হিসেবে অর্থ পান, সেটি ভ্রমণের জন্য রেখে দিতে পারেন। পরিবার বা বন্ধুরা যদি উপহার পছন্দ করার স্বাধীনতা দেন, তবে নিতে পারেন ভ্রমণ প্যাকেজ, বিমান বা বাসের টিকিট, হোটেলের খরচ। ঈদে পাওয়া সালামির অর্থও রেখে দিতে পারেন ভ্রমণের জন্য।

এ ছাড়া চাকরিজীবীরা উৎসব ভাতা, অন্যান্য আর্থিক যেসব সুযোগ পান, সেখান থেকেও অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি কিস্তিতে ভ্রমণের সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি আপনার সুবিধামতো নিতে পারেন সেই সুযোগ। ফলে একবারে ভ্রমণ খরচের চাপ নিতে হয় না। দল বেঁধে ঘোরার চেষ্টা করুন, খরচ অনেকটা কমাতে পারবেন।