সংস্কৃতিচর্চার এক বছরে ডিআইইউসিসি

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের (ডিআইইউসিসি) এক বছর পূর্ণ হলো ৭ অক্টোবর
ছবি: ফেসবুক থেকে

‘এক বছর আগে যে লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই লক্ষ্য কি পূরণ হয়েছে?’ প্রশ্ন রেখেছিলাম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের কাছে। তাঁর আরেক পরিচয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের তিনি প্রধান উপদেষ্টা। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের (ডিআইইউসিসি) এক বছর পূর্ণ হলো ৭ অক্টোবর। সেই সূত্র ধরেই তাঁর কাছে এই জিজ্ঞাসা।

ওমর ফারুক বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইটা। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে সক্রিয় রাখা। দ্বিতীয়ত, দেশীয় সংস্কৃতিচর্চায় উদ্বুদ্ধ করা। দুটি ক্ষেত্রেই আমরা অনেকখানি সফল। ক্যাম্পাসের ভেতরে তো বটেই, ক্যাম্পাসের বাইরেও আমাদের একটা পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। গত এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে, পুরস্কার পেয়েছে। সারা বছরই নানা আয়োজনে ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা।’

শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন তিনজন শিক্ষক। তবে সংগঠনের মূল কার্যক্রম শিক্ষার্থীরাই পরিচালনা করেন। ডিআইইউসিসির সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মেহেদী বললেন, ‘আমাদের সদস্য এখন ১৭০ জনেরও বেশি। একটা জায়গায় আমাদের ক্লাবটা আলাদা। যেকোনো অনুষ্ঠানে আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। এই একতা আছে বলেই বেশ কয়েকটা আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় আমরা ভালো করেছি।’ মেহেদী জানালেন, তাঁদের বিভিন্ন কার্যক্রমে সব সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পান। শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী—সবাইই শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেন।

ক্লাবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ওয়ান ইয়ার, ওয়ান গ্লো’ শিরোনামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআইইউসিসি। ক্লাবের উদ্যোগেই গান, নাচ ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় মেতেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ। এ ধরনের আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে সাংস্কৃতিক আয়োজনের দায়িত্ব ডিআইইউসিসি সদস্যদের কাঁধেই পড়ে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

ভবিষ্যতে ক্লাবটির আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা আছে। যেমন ডিআইইউ কালচারাল ফেস্টিভ্যাল, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা, সংস্কৃতিবিষয়ক তথ্যচিত্র তৈরি…নানা কিছুর উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্লাবের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এরই মধ্যে ক্লাবটির পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সামনে হয়তো আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুনাম বয়ে আনবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, এমনটাই শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা।