
হাত নেই তাই, ওদের মাঝে
হয় না হাতাহাতি,
কিন্তু ওরা হাতি।
এই হাতিদের নিয়েই দ্যাখো
কেমন মাতামাতি!
এককালে কেউ নাম কামাতে
চাইলে রাতারাতি,
পুষত তারা হাতি।
হাতি পোষায় ভীষণ বড়াই।
কিছু হাতি করত লড়াই
যুদ্ধের ময়দানে।
বন-বাদাড়ের ভারী জিনিস
হাতিই টেনে আনে।
সার্কাসেতেই দেখা মেলে
কিছু খেলা আছে
তুচ্ছ ওসব খেলাধুলো
বৃহৎ হাতির কাছে।
স্থলচর প্রাণী-রাজ্যে
ওরাই বড় জাতি
একটা বিশাল শুঁড় আছে তাই
নামটা ওদের হাতি।
শুঁড়ই ওরা হাতের মতো
এদিক-ওদিক নাড়ায়
হাতির আবাস—দুই মহাদেশ
এশিয়া, আফ্রিকায়।
থামের মতো চারখানা পা
কান দুখানা কুলো,
নিরামিষই খাবার ওদের
আর খায় ফল-মূলও।
এখনো ঠিক কিছু হাতি
রাজপ্রাসাদে থাকে
কিছু হাতি অনাহারেও
হাতির মতোই ডাকে।
মরা হাতির দাম কম নয়
এক শ হাজার টাকা।
সবার মতো হাতিদেরও
আছে বাবা, কাকা।
হাতির মামা, চাচা, দাদা
কেউ নয় তো ঘোড়া গাধা
হাতির চাচি, দাদি, মামি
হোক না যতই অল্প দামি—
হাতির খালা, নানা, নানি
এবং হাতির নাতি
সবাই কিন্তু হাতি।