গাজায় দুই বছর ধরে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ও গণহত্যার পর যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলো। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য কে জিতল?
গাজায় দুই বছর ধরে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ও গণহত্যার পর যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলো। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য কে জিতল?

মতামত

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে কে জিতল—ইসরায়েল নাকি হামাস?

মিসরের উপকূলীয় পর্যটন শহর শারম আল শেখ-এ টানা তিন দিন ধরে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ঘোষিত হয়েছে। সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক।

আগের দিন থেকেই অবশ্যই যুদ্ধবিরতির রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ আরব বিশ্বে এবং সারা দুনিয়ায়।

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তখন থেকে শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল, কবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হচ্ছে। অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত ও প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতিটি সম্পন্ন হলো।

এখন আলোচনা হতে পারে, এই শান্তিচুক্তি বা অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে কে জিতল, কে হারল? আমরা অনেক লম্বা-চওড়া আলোচনায় না গিয়ে সহজ দুটি মানদণ্ডে বিষয়টা বিশ্লেষণ করে দেখতে পারি।

কোন পক্ষে উৎসব হচ্ছে

যে পক্ষে উৎসব হচ্ছে, ধরে নেওয়া যায় তারা খুশি এবং নিজেদের বিজয়ী মনে করছে।

এই মানদণ্ডে দেখলে দেখব ফিলিস্তিনিরা উল্লাস করছে। গাজায় সাংবাদিকেরা হেঁটে হেঁটে অন্ধকার রাতে, মুঠোফোনের বাতি জ্বালিয়ে মানুষকে শান্তিচুক্তির সুসংবাদ দিচ্ছেন। যাদের কাছে ইন্টারনেট নেই, তাদের কাছে যুদ্ধবিরতির খবর পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। আল আকসা হাসপাতালের সামনে, খান ইউনিসে ফিলিস্তিনিরা জড়ো হয়ে উৎসবে মেতেছেন।

অপর দিকে ইসরায়েলিদের ভেতর নেমে এসেছে কবরের নিস্তব্ধতা। হামাসের হাতে জিম্মিদের আত্মীয়স্বজনেরা নিজ স্বজনদের মুক্তির আশায় খুশি। সেটি কি যুদ্ধজয়ের খুশি বলা যায়? নিশ্চয়ই না।

যুদ্ধজয়ের গল্প আওড়ে যাচ্ছেন একমাত্র বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু সেটা তাঁর সেনাবাহিনী, তাঁর মন্ত্রিসভার কেউই বিশ্বাস করছেন না। সাধারণ ইসরায়েলিদের কথা না–ইবা বললাম। তেল আবিবের রাস্তায় স্কাই নিউজের সাংবাদিকের করা প্রশ্নে একজন সাধারণ ইসরায়েলি নাগরিক বলছেন, ‘এটা বন্দীদের জন্য, ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য, গোটা পশ্চিমের জন্যই একটা খারাপ সংবাদ।’

ফিলিস্তিনিরা তথা গাজাবাসী এ জন্যও খুশি যে তাঁরা এখন খাবার পাবেন, চিকিৎসা পাবেন, ঘরে ফিরতে পারবেন। তাঁদের এ খুশি যুদ্ধজয়ের জন্য নয়—এই তর্ক তোলা যেতেই পারে।

সে ক্ষেত্রে আমরা দ্বিতীয় মানদণ্ডে যাই।

মিষ্টি বিতরণ করে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উদ্‌যাপন। মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায়, ৯ অক্টোবর ২০২৫

হামাসের মূল লক্ষ্য কী ছিল

হামাসের প্রধান লক্ষ্য ছিল কী ছিল সেটি দেখি শুরুতে। ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জাতিসংঘের ভাষণে নতুন মধ্যপ্রাচ্যের একটি মানচিত্র দেখান, যেখানে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন বলে কোনো ভূখণ্ড নেই। অর্থাৎ ফিলিস্তিন অতীত। আরবদের, বিশ্বমোড়লদের, ইসরায়েলের কেউই মনে করছে না এখানে ফিলিস্তিন নামে কোনো ভূখণ্ড আছে। ফিলিস্তিনি নামে পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো একটা জাতিগোষ্ঠী আছে।

হামাসের মূল লক্ষ্য ছিল, ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে আনা; আরবদের মুখে, বিশ্বমোড়লদের মুখে, এমনকি ইসরায়েলিদের মুখেও।

এই উদ্দেশ্য কি সাধিত হয়েছে? হ্যাঁ, হয়েছে। বলা যায়, এ কাজে শতভাগ সফল হামাস এবং ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী ও লড়াকু মানুষেরা।

যেখানে আরব শাসকেরা, এমনকি দেশভেদে আমজনতা পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে বলি দিতে, ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, সেখানে দুই বছর পর আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, জন্মের পর থেকে জায়নিজমের একনিষ্ঠ সমর্থক বরং সঠিক শব্দে বললে জায়নিজমের জন্মদাতারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় গাজায় জিম্মি থাকা মাতান জাঙ্গাউকারের মা এনাভ জাঙ্গাউকারের ইসরায়েলের পতাকা ধরে উল্লাস। ইসরায়েলের তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে, ৯ অক্টোবর ২০২৫

যেসব রাষ্ট্রের উদরে জায়নিজম আর ইসরায়েলের জন্ম, সেসব রাষ্ট্রের রাজপথ এখন ফিলিস্তিনের স্লোগানে মুখরিত। ফিলিস্তিন মুছে যাওয়ার পরিবর্তে বরং গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুরো দুনিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ডজন ডজন নৌকা নিয়ে ফিলিস্তিনের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। ক্রমাগত, একের পর এক। গাজাবাসীও তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছেন সমুদ্রতীরে।

পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের নামে স্লোগান দিচ্ছে। সারা পৃথিবীতে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে—ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি।

তো, ইসরায়েল কি ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে পেরেছে? পারেনি। মুছে দিতে চেয়েছিল? হ্যাঁ, চেয়েছিল। সারা দুনিয়ার শতকোটি মানুষ এখন ফিলিস্তিনকে হৃদয়ে ধারণ করে। ফিলিস্তিন ভূমধ্যসাগরের তীর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ফিলিস্তিন এখন আর মধ্যপ্রাচ্যে নয়, শতকোটি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ, ক্ষুধার্ত, অস্ত্রহীন একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী টানা দুই বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে, এমনকি শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তিতে বসতে বাধ্য করতে পারে; ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর এটা অবিশ্বাস্য ঠেকে থাকতে পারে, কিন্তু আজকের পৃথিবীতে এটাই ধ্রুব সত্য। এটাই বাস্তব।

অপর দিকে ইসরায়েল ও জায়নিজমের অবস্থার দিকে তাকাই। ইহুদি রাষ্ট্রটি আজকে পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। এ কথা শুনে অনেকে অবাক হচ্ছেন তো? তাহলে কিছু নমুনা দেওয়া যাক।

গত ৮ জুলাই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্পেনের ভিগো শহরের মিমাসা রেস্টুরেন্টের মালিক একদল ইসরায়েলি পর্যটককে রেস্টুরেন্ট থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রথমে তাঁদের তুর্কি ভেবেছিলেন। যখনই জানতে পারলেন তাঁরা ইসরায়েলি, দুপুরের খাবার পরিবেশনের পরিবর্তে তাঁদের রেস্টুরেন্ট থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুরূপ ঘটনা ইতালি, থাইল্যান্ডের মতো দেশেও ঘটেছে। ইসরায়েলিরা পয়সা দিয়ে খেতে গেলেও খাবার পাচ্ছেন না।

নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে ইসরায়েলি পর্যটকেরা পার্কে হামলার শিকার হন। কারণ, ডাচরা তাদের দেশে ‘ফিলিস্তিনের খুনিদের’ পর্যটক হিসেবে চায় না। মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান, যাদের প্রযুক্তিতে গাজায় গণহত্যা সম্ভব হয়েছে, তারাও অবশেষে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কিছু চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলকে বয়কট করার শক্তিশালী আন্দোলন ‘বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশনস’ (বিডিএস)–এর তথ্যমতে, ইসরায়েলি স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৯০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে বলতেই হয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক—সব দিক থেকে ইসরায়েল বর্তমানে একটা বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে স্পেনের মাদ্রিদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ

হামাসের দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল, তথাকথিত আব্রাহাম অ্যাকর্ড বন্ধ করা। সেটি কি বন্ধ হয়েছে? হ্যাঁ, হয়েছে। আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কোর পর ২২ সেপ্টেম্বরের ভাষণে নেতানিয়াহু খোদ সৌদি আরব আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। যে মানচিত্রে ফিলিস্তিন বলে কিছু ছিল না, পুরোটাই ছিল ইসরায়েল; সেই ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের শান্তিচুক্তি—ফিলিস্তিনিদের নির্মম বলিদান বৈ কিছুই নয়।

হামাস জানত, ফিলিস্তিনিরা আগেও পরাধীন ছিল, এখনো পরাধীন থাকবে। আগেও পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত কারাগারে ছিল, এখনো থাকবে। তাদের প্রাপ্তির কিছু নেই, কিন্তু হারানোর ছিল। অতি নগণ্য স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া সফেদ লম্বা লেবাস পরা, ‘ইয়া হাবিবি’ বলা আরব শাসকদের আপস বা দালালির পরও ফিলিস্তিনকে ‘হারিয়ে যাওয়া’ থেকে রক্ষা করতে পেরেছে হামাস ও গাজার মুক্তিকামী মানুষেরা।

ইসরায়েলের লক্ষ্য কী কী ছিল

হামাসের লক্ষ্য অর্জনের বিপরীতে ইসরায়েলের লক্ষ্য কী ছিল, সেই লক্ষ্যে তারা কতটা পৌঁছাতে পেরেছে সেটি দেখে নেওয়া যাক।

ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল মোটাদাগে তিনটি। এক. বন্দীদের মুক্ত করা। তারা কি সেটা পেরেছে? পারেনি। আনুষ্ঠানিক হিসাবে ৬৬ হাজারের বেশি কিন্তু কার্যত এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মানুষ হত্যা করেও জিম্মিদের তারা মুক্ত করতে পারেনি।

দুই বছরের যুদ্ধের পর অবশেষে হামাসের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমেই বন্দীদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে। মাঝখানে আরেকটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কিছু জিম্মিকে তারা ফেরত পেয়েছিল। মোটকথা, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ছাড়া গণহত্যা চালিয়েও পৃথিবীর তথাকথিত প্রবল শক্তিধর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অপরাপর পরাশক্তিদের সর্বাত্মক সহায়তা নিয়েও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারেনি।

দুই. হামাসকে নির্মূল করা। এটাও কি পেরেছে? পারেনি। বরং সব হিসাব বলছে যুদ্ধের প্রথম দিন হামাসের যে পরিমাণ সদস্য ছিল, আজকের দিন পর্যন্ত ঠিক সে পরিমাণই আছে। কিছু কিছু হিসাব বলছে সংখ্যাটা বেশিও হতে পারে।

তবে হ্যাঁ, হামাসের ক্ষমতা আগের তুলনায় বেশ খর্ব হয়েছে। বিশেষ করে তাদের বড় বড় অনেক নেতাকেই তারা হারিয়েছে। মারণাস্ত্র বিশেষ করে রকেটের মতো যুদ্ধাস্ত্রের মজুতও ফুরিয়েছে। কিন্তু গেরিলা যুদ্ধে হামাস আরও দুই বছর টিকে থাকতে পারবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। এমনকি সেটা যদি দুই দশক হয়, তবুও। তার মানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থাকতে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিতে তিউনিসিয়ার বন্দরে একটি নৌযানকে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিদায় জানাচ্ছেন একজন আন্দোলনকর্মী। ১৪ সেপ্টেম্বর, এএফপি

তিন. গাজাকে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া, যেন সেটা আর কোনো দিন ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়। ইসরায়েলের এই উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কি? এখনো পুরোপুরি নয়। ভবিষ্যতে সেটি নিশ্চিতভাবে হবে কি না, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।

এই যুদ্ধের আগে, অর্থাৎ যদি আমরা ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবরে ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাব, পুরো পৃথিবী মনে করে ইসরায়েল এই দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র। তাদের সেনাবাহিনী অপরাজেয়। তাদের প্রযুক্তি বিশ্বসেরা। তাদের দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা দুনিয়ার কারও নাই। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মাস-সপ্তাহ তো বহুদূর, কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টাও কেউ টিকতে পারবে না। ইসরায়েলিরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ও গর্বিত জাতি।

আজকে, ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবরে এসে কী দেখতে পাচ্ছি? সারা পৃথিবী জানে ইসরায়েল একটা গণহত্যাকারী রাষ্ট্র। সেই গণহত্যার সমর্থনকারী ইসরায়েলিরা পৃথিবীর সবচেয়ে নৃশংস ও অমানবিক মানুষ। অভিশপ্ত ও পরিত্যক্ত। ইসরায়েলের মারণাস্ত্র আর প্রযুক্তি নারী ও শিশুদের হত্যার ক্ষেত্রে নিখুঁত বটে। কিন্তু বাস্তব যুদ্ধে সেটা মাকড়সার জালের মতোই।

২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ, ক্ষুধার্ত, অস্ত্রহীন একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী টানা দুই বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে, এমনকি শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তিতে বসতে বাধ্য করতে পারে; ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর এটা অবিশ্বাস্য ঠেকে থাকতে পারে, কিন্তু আজকের পৃথিবীতে এটাই ধ্রুব সত্য। এটাই বাস্তব।

গোটা বিশ্বের মতো সেই স্লোগান দিয়েই এই লেখা শেষ করছি—‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি।’

  • রাকিবুল হাসান লেখক ও অনুবাদক