ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘আমরা বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চাই।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘আমরা বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চাই।’

মতামত

ট্রাম্পের পক্ষে তালেবানের বাগরাম ঘাঁটি ফের দখল করা সম্ভব?

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত ‘অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো’ বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন।

তিনি প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রীতিমতো চুক্তি করে আফগানিস্তানের ‘অধিকার ছাড়িয়া’ দেওয়ার পর মার্কিন সেনারা ঘটিবাটি রেখে যে বাগরাম ঘাঁটি ফেলে চলে এসেছিলেন; আজ পাঁচ বছর পর তিনি সেই ঘাঁটির ‘অধিকার’ দাবি করে বসেছেন।

সেই ‘অধিকার’ বুঝে না পেলে তিনি ‘খুব খারাপ কিছু’ ঘটিয়ে ফেলবেন বলে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার লন্ডন সফর করার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ঘর ভরা সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘আমরা বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চাই।’

ঘাঁটিটির ওপর আদৌ আন্তর্জাতিক আইনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার আছে কিনা, ঘাঁটির মালিক দেশটি সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে দেবে কিনা, যদি না দেয় তো আইন অনুযায়ী তা পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা—এসবের ধার তিনি ধারেননি।

ট্রাম্প পরে তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ সরাসরি মাস্তানি ভাষায় বলেছেন, ‘বাগরাম ঘাঁটি না দিলে আফগানিস্তানের কপালে খারাবি আছে’।

এই ঘটনা গরিব উপেনের কাছ থেকে ‘দুই বিঘা জমি’ হাতিয়ে নেওয়া সেই ‘বাবু’র কথা মনে করিয়ে দেয়। উপেনের শেষ সম্বল দুই বিঘে জমি দেখিয়ে ‘বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, ও জমি লইব কিনে”’।

জমির ওপর নিজের অধিকারের ন্যায্যতা দাঁড় করাতে বাবু যুক্তি দিয়ে উপেনকে বোঝালেন, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা, পেলে দুই বিঘে প্রস্থ ও দিঘে সমান হইবে টানা—ওটা দিতে হবে।’

আন্তর্জাতিক ‘বাবু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কায়দায় বলেছেন, চীন যেখানে পরমাণু অস্ত্র বানায়, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র ঘণ্টাখানিকের পথ। তা ছাড়া রাশিয়াও কাছাকাছি। সব দিক থেকে সুবিধা। এই কারণে ঘাঁটিটা দরকার; ‘ওটা দিতে হবে।’

বছর দশেক আগে হলে, আফগানিস্তান হয়তো খুব একটা গাঁইগুঁই করতে পারত না। কিন্তু এখন আমেরিকার পক্ষে যে আগের মতো কথায় কথায় হামলা চালানো সহজ না, তা চীন জানে, রাশিয়া জানে, ভারত জানে, এমনকি আফগানিস্তানও জানে।

সম্ভবত সে কারণে আফগানিস্তান কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আফগানিস্তানের সরকার প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলেননি।

এখন যে বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এই ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো। এখানে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে তারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো এক বিশাল ব্যক্তির হুমকির জবাবে জাকির জালালি নামের একজন সামান্য মুখপাত্রকে দিয়ে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলিয়েছে: বাগরাম ঘাঁটি আমেরিকার হাতে দেওয়ার সুযোগ নেই।

তারা বলেছে, আমেরিকার সঙ্গে আফগানিস্তান সম্পর্ক রাখতে চায়; কিন্তু সেই সম্পর্ক হতে হবে সমান-সমান; আমেরিকার কোনো সেনা উপস্থিতি আফগানিস্তানে থাকতে পারবে না।

আজ রোববার আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ অব স্টাফ ফাসিহুদ্দিন ফিতরাত বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু লোক দাবি করেছেন, তাঁরা বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের হাতিয়ে নিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।

কিন্তু আফগানিস্তানের মাটির এক ইঞ্চি নিয়েও কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। আমাদের এর কোনো প্রয়োজন নেই।’

এই অবস্থায় বাগরাম ঘাঁটির দখল নেওয়া এখন ট্রাম্পের মান-ইজ্জতের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প যদি এই ঘাঁটির দখল না নিতে পারেন এবং হুমকিমতো আফগানিস্তানকে যথার্থ ‘খারাবি’ না দেখাতে পারেন, তাহলে তাঁর বিড়ম্বনার আর শেষ থাকবে না।

একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মুখ ফুটে যদি বলেন, ‘ওমুক জিনিস আমার দরকার’; আর কেউ যদি বলেন, ‘না, ওটা তো দেব না’; তাহলে কী অবস্থা হয় তা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেখে আসছি।

গত সিকি শতাব্দী ধরে আমরা ইরাকের সাদ্দাম, লিবিয়ার গাদ্দাফি, সিরিয়ার বাশারের পরিণতি দেখেছি। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আমেরিকার অজস্র মানুষ মারা দেখেছি।

এখন যে বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এই ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো। এখানে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে তারা।

গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাগরাম থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে আনা উচিত হয়নি। সেখানে অন্তত কিছু সেনা মোতায়েন রাখা উচিত ছিল।

কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলেন, তাতে বলা ছিল, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সব সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে।

ট্রাম্প বুঝতে চাচ্ছেন না, তাঁর শর্তই বাইডেন পূরণ করেছেন। তিনি বলছেন—না, ঘাঁটিটা ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। ওটা এখন আমেরিকার দরকার।

রাজধানী কাবুল থেকে গাড়িতে এক ঘণ্টার পথের দূরত্বে বাগরাম বিমানঘাঁটি দীর্ঘদিন ধরে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

২০১২ সালের দিকে এই বিশাল ঘাঁটিতে এক লাখেরও বেশি মার্কিন সেনা অবস্থান করেছিলেন। এখানে কিউবায় অবস্থিত গুয়ানতানামো কারাগারের মতো বন্দী নির্যাতন হয়েছে বলে এটিকে ‘আফগানিস্তানের গুয়ানতানামো কারাগার’ বলা হয়।

ট্রাম্পের এখন এই ঘাঁটির এত প্রয়োজন পড়ল কেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিষয়টি অবশ্য ট্রাম্প নিজেই অনেকটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বানানো হয় যেখানে, সেখান থেকে এই ঘাঁটি মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে।’

তার মানে বাগরাম ফেরত নিতে চাওয়ার বড় কারণ হলো চীনের ওপর নজরদারি। এর বাইরে আফগানিস্তানের বিরল খনিজের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাগরাম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোর একটি, রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিমান নামানো যায়।’

ট্রাম্পের এসব কথাবার্তার পর শুক্রবার চীন আফগানিস্তানের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। ওই দিন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘চীন আফগানিস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আফগান জনগণ। এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ানো বা মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করা ভালো কিছু হবে না।’

রাজধানী কাবুল থেকে গাড়িতে এক ঘণ্টার পথের দূরত্বে বাগরাম বিমানঘাঁটি দীর্ঘদিন ধরে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

শিকাগো-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস-এর তথ্য বলছে, চীন দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে। এখন তাদের হাতে প্রায় ৬০০ ওয়ারহেড আছে বলে ধারণা করা হয়। এটি ট্রাম্পের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্পের কথাবার্তায় এই সন্দেহও করা যেতে পারে যে, বাগরাম ঘাঁটি আমেরিকাকে ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়ে ভেতরে-ভেতরে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবান সরকারের আলোচনা এগিয়ে থাকতেও পারে।

কারণ তালেবান সম্প্রতি নিজেদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে। গত মার্চে তারা মার্কিন নাগরিক জর্জ গ্লেজম্যানকে (ডেলটা এয়ারলাইনসের একজন মেকানিক) মুক্তি দিয়েছে।

এটিকে আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

গত শুক্রবার তালেবান ব্রিটিশ দম্পতি বারবি রেনল্ডস (৭৬) ও তার স্বামী পিটার রেনল্ডস (৮০)-কে মুক্তি দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের আটক করেছিল।

গত শুক্রবার তালেবান ব্রিটিশ দম্পতি বারবি রেনল্ডস (৭৬) ও তার স্বামী পিটার রেনল্ডস (৮০)-কে মুক্তি দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের আটক করেছিল।

লং ওয়ার জার্নাল-এর সম্পাদক বিল রগিও বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, ‘তালেবান যদি আমেরিকার সঙ্গে বাগরাম ঘাঁটি নিয়ে সমঝোতায় যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে, সেটি নস্যাৎ করতে চীন সর্বশক্তি খাটাবে।

চীন নিশ্চিতভাবেই তার দিক থেকে সবকিছু করবে যাতে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানে ফের ঢুকতে না দেয়। আর আফগানিস্তানকে প্রলোভন এবং ভয় দেখাতে যা দরকার, তা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনের হাতে বেশিই আছে।’

ট্রাম্প বলেছেন, বাগরাম ঘাঁটিতে চীনের লোকজনের উপস্থিতি আছে। কিন্তু বিবিসি বলছে, তাদের তদন্তে দেখা গেছে, ২০২০ সালের শেষ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ঘাঁটিটির ৩০টি স্যাটেলাইট চিত্র নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই পরীক্ষার পর দেখা যায়, তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ঘাঁটিতে খুব সামান্য কার্যক্রম হয়েছে এবং সেখানে চীনের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প যদি বাগরাম ফের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য গো ধরেন, তাহলে সেটি শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানে নতুন করে মার্কিন অভিযানের মতো দেখাতে পারে।

তালেবান এখন রাজি না থাকলেও পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি বাগরাম ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়, এরপরও ঘাঁটিটি ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার হুমকির মুখে থাকবে। বাগরাম দখলে নিতে এবং এটি ধরে রাখতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে। ঘাঁটিটি মেরামত করতেও বহু পয়সা কড়ির দরকার।

এই ধরনের অভিযান চালাতে হলে ১০ হাজারের বেশি সেনা এবং অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে। এই লোকবল ও অর্থবল খরচ করার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এখন নেই।

ট্রাম্প এ ধরনের অভিযান চালানোর চেষ্টা করলে আমেরিকার ভেতর থেকে তিনি যে চাপের মুখে পড়বেন, তা তার পক্ষে সামলানো কঠিন হবে।

তালেবান এখন রাজি না থাকলেও পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি বাগরাম ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়, এরপরও ঘাঁটিটি ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার হুমকির মুখে থাকবে।

বাগরাম দখলে নিতে এবং এটি ধরে রাখতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে। ঘাঁটিটি মেরামত করতেও বহু পয়সা কড়ির দরকার।

ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আশপাশের এলাকা নিরাপদ করতে এবং মার্কিন বাহিনীর ওপর রকেট হামলা ঠেকাতে বিশাল কর্মযজ্ঞের দরকার হবে। তাই বাস্তবিক অর্থে কীভাবে এটি সম্ভব হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

এমন পরিস্থিতিতে এই ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওয়াশিংটনের খুব একটা সুবিধা হবে না বলে মনে হয়। কারণ এটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ফলে যেসব সামরিক সুবিধা পাওয়া যাবে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পোষাবে না।

এ কারণে মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের বাগরাম ঘাঁটি ফেরত নেওয়ার ঘোষণা শেষ পর্যন্ত ফাঁকা বুলি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

  • সারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক
    ইমেইল: sarfuddin2003@gmail.com