
পুরোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দীর্ঘ উপন্যাসের শেষ অধ্যায় না-ও হতে পারে, বরং বিপজ্জনক অধ্যায়ের শুরুও হতে পারে। স্বৈরাচারের পতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুক্তি এনে দেয় না, বরং এটি নাগরিকদের মুক্তির ‘সুযোগ’ দেয় মাত্র। স্বৈরাচারের পতন এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান
বিশাল ব্রোঞ্জের মূর্তিটি ক্রেন দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে; সুউচ্চ স্তম্ভগুলো ছেয়ে গেছে বিদ্রোহী গ্রাফিতিতে; কুখ্যাত পুলিশের দপ্তরগুলো জনরোষের আগুনে তছনছ।
স্বৈরশাসকের পতনের ঠিক পরের এই মুহূর্তগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক এবং শহুরে সমাজ বেশ রোমান্টিক আশাবাদের সঙ্গেই ‘শুরুর দিন’ বা ‘ডে ওয়ান’ হিসেবে অভিহিত করতে পছন্দ করে—যেন এটি একটি অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে উদার গণতন্ত্রের আলোকিত রাজপথে উত্তরণের এক সোজাসাপটা ও অবশ্যম্ভাবী যাত্রা।
তবে ভাইমার জার্মানির বিয়ার হল থেকে শুরু করে সাদ্দাম-পরবর্তী বাগদাদের জরাজীর্ণ রাজপথ—ইতিহাস আমাদের বারবার সতর্ক করেছে, স্বৈরাচারের পতন-পরবর্তী বিশাল রাজনৈতিক কর্তৃত্বের শূন্যস্থান সংসদের যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক বা সংশোধিত সংবিধান দিয়ে খুব কমই পূরণ হয়েছে।
ইতালীয় মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক আন্তোনিও গ্রামসি থেকে ধার করে বলা যায় এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়টি যেন ‘ইন্টাররেগনাম’ বা যুগসন্ধিক্ষণ। তিনি লিখেছিলেন, পুরোনোর মৃত্যু ঘটছে, কিন্তু নতুনের জন্ম হতে পারছে না। এই আলো-আঁধারিতেই নানাবিধ অসুস্থ উপসর্গের আবির্ভাব ঘটে।
২.
দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরাচারী শাসন জনমানসে, বিশেষ করে তরুণদের মনস্তত্ত্বে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত সৃষ্টি করে ফেলে। হান্না আরেন্ডট তাঁর দ্য অরিজিনস অব টোটালিটারিয়ানিজম গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে সর্বাত্মকবাদী শাসনের মূল শক্তি নিছক পুলিশি নির্যাতন বা ভয়ের রাজত্ব কায়েমের মধ্যে নয়, বরং এর প্রকৃত সাফল্য নিহিত সমাজকে ‘অ্যাটমাইজ’ বা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার সুগভীর কৌশলে।
শাসকেরা সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের পারস্পরিক বিশ্বাস, সামাজিক বন্ধন ও সংঘবদ্ধ হওয়ার সক্ষমতাকে ধ্বংস করে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন ও নিঃসঙ্গ সত্তায় পরিণত করে। ফলে চরম একাকিত্ব ও অর্থহীনতায় ভোগা মানুষ বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে অন্ধভাবে নেতার বা রাষ্ট্রের মতাদর্শের কাছে নিজেকে সঁপে দেয় এবং পারস্পরিক আস্থার অভাবে কোনো প্রকার সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়।
বিষয়টা হয়তো আরও স্পষ্ট হয় চেক চিন্তাবিদ ও রাষ্ট্রনেতা ভাকলাভ হাভেলের কালজয়ী প্রবন্ধ ‘দ্য পাওয়ার অব দ্য পাওয়ারলেস’-এর সেই সাধারণ সবজি বিক্রেতার রূপকের মাধ্যমে। সেই বিক্রেতা প্রতিদিন তার দোকানে একটি স্লোগান টাঙায়— ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’। অথচ সে এই স্লোগানে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করে না, এবং সে জানে পথচারীরাও এটি বিশ্বাস করে না।
তারপরেও স্লোগান সে টাঙায় কেবল ঝামেলা এড়ানোর জন্য, নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য। হাভেলের মতে, আধুনিক স্বৈরাচার নাগরিকদের কেবল আনুগত্য চায় না, বরং চায় তারা যেন একটি ‘মিথ্যার মধ্যে বসবাস’ করে।
৩.
এই মিথ্যার পরিবেশ প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী পোলিশ কবি চেস্লাভ মিউশের ‘কেটমান’-এর ধারণাও আমরা ভাবতে পারি। ঊনবিংশ শতাব্দীর ফরাসি কূটনীতিক গোবিনোর ভ্রমণকাহিনি থেকে মিউশ এই শব্দটি ধার করে তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ দ্য ক্যাপটিভ মাইন্ড-এ ব্যবহার করেছিলেন।
বলা হয়েছিল যে প্রাচীন ইরানে ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা প্রাণ বাঁচাতে বা শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে জনসমক্ষে নিজেদের আসল বিশ্বাস গোপন রেখে বাইরের সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলত। মিউশ এই ধর্মীয় আত্মরক্ষার কৌশলটিকে আধুনিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুলে এনে দেখান যে স্বৈরাচারী বা সর্বাত্মকবাদী শাসনের সময়ও কিছু মানুষ ‘কেটমান’ চর্চা করেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রকাশ্যে শাসকের মতাদর্শের প্রতি অন্ধ আনুগত্য দেখান এবং প্রবল উৎসাহে শাসকের গুণগান করেন। কিন্তু মনের গহিনে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বাস লালন করে শাসককে ঘৃণা করতে থাকেন।
এটি কেবল নিছক ভীরুতা নয়; বরং একধরনের সুনিপুণ বুদ্ধিবৃত্তিক অভিনয় বা দ্বৈত জীবন। কেটমান চর্চাকারী ব্যক্তি একধরনের গোপন অহংকার বা শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করেন এই ভেবে যে তিনি তাঁর বাইরের মিথ্যা আচরণ দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বোকা বানাচ্ছেন এবং নিজের ভেতরের ‘মুক্ত সত্তা’কে স্পর্শ করতে দিচ্ছেন না।
কিন্তু মিউশ অত্যন্ত নির্মমভাবে সতর্ক করেছেন, দীর্ঘকাল ধরে নিজের বিবেকের সঙ্গে এই প্রতারণা বা অভিনয়ের খেলা চালিয়ে যেতে যেতে একসময় মানুষের আসল চেহারা ও মুখোশ একাকার হয়ে যায় এবং সে তার নিজস্বতা ও নৈতিকতা হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই মিথ্যা ব্যবস্থারই দাসে পরিণত হয়।
৪.
স্বৈরাচার নাগরিকদের পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ককে কেমন ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে, তা বুঝতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিসা ওয়িডিনের অ্যাম্বিগুইটিস অব ডমিনেশন বইতে সিরিয়ার হাফিজ আল-আসাদের শাসনব্যবস্থার ব্যবচ্ছেদ দেখতে পারি। তিনি ‘অ্যাজ ইফ পলিটিকস’ বা ‘যেন রাজনীতির’ ধারণার মাধ্যমে যে হাড় হিম করা চিত্র তুলে ধরেছেন, তা আধুনিক স্বৈরতন্ত্রে মনস্তাত্ত্বিক দমনের এক দালিলিক প্রমাণ।
ওয়েডিন দেখিয়েছেন, এই ব্যবস্থায় নাগরিকেরা প্রকাশ্য জনসমাবেশে বা দৈনন্দিন জীবনে শাসকের অলৌকিক ক্ষমতা ও মহত্ত্বের প্রতি এমনভাবে অন্ধ ভক্তি প্রদর্শন করে ‘যেন’ তারা তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। অথচ এই নাটকের অন্তরালে শাসক এবং শাসিত—উভয় পক্ষই খুব ভালো করে জানে যে এই ভক্তি নিছকই একটি হাস্যকর প্রহসন ও মিথ্যাচার।
ওয়িডিনের মতে, চতুর স্বৈরাচারী শাসকেরাও আসলে জনগণের ভালোবাসা বা প্রকৃত বিশ্বাস প্রত্যাশা করে না, বরং তারা জনগণকে দিয়ে জোরপূর্বক এই উদ্ভট ও মিথ্যা আচার পালন করানোর মাধ্যমে তাদের মেরুদণ্ড ও সত্য বলার সাহসকে চূর্ণ করতে চায়। ফলে নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন এই বাধ্যতামূলক অভিনয় ও দ্বৈত জীবন যাপন করতে গিয়ে পুরো একটি প্রজন্ম মানসিকভাবে ‘স্কিজোফ্রেনিক’ বা খণ্ডিত সত্তায় পরিণত হয়।
এই প্রক্রিয়ার দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ। কারণ, এর ফলে মানুষের ভেতর থেকে ‘বিশ্বাস’ নামক মৌলিক মানবিক গুণটিই এমনভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে তারা পরবর্তী সময়ে আর কোনো রাজনৈতিক আদর্শেই গভীরভাবে আস্থা রাখতে পারে না। তারা রাজনীতি বা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কেবলই একটি সাজানো নাটক বা প্রতারণা হিসেবে দেখতে শুরু করে।
কাজেই স্বৈরাচারের পতনের পর সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা এবং সামাজিক নৈরাজ্যের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদের মতো উগ্র মতাদর্শের চোরাপথ নতুনভাবে তৈরি হতে পারে। স্বৈরাচার যদি হয় ‘সিডেটিভ’ বা ঘুমপাড়ানি বড়ি, তবে ফ্যাসিবাদ হলো বারুদসম ‘উত্তেজক’ বা স্টিমুল্যান্ট।
স্বৈরাচারের স্বস্তি জনগণের নিষ্ক্রিয়তায়—সে চায় মানুষ রাজনীতি ভুলে ঘরে খিল দিয়ে বসে থাকুক। কিন্তু ফ্যাসিবাদের ক্ষুধা ভিন্ন। সে নিষ্ক্রিয়তা চায় না, বরং চায় সম্মিলিত উন্মাদনা। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা চায় জনসমুদ্র মশাল হাতে রাস্তায় নেমে আসুক এবং জাতিকে ‘পবিত্র’ করার রক্তক্ষয়ী মিশনে নিজেকে উৎসর্গ করুক।
এই চক্রের বিয়োগান্ত দিকটি হলো, জনতা মনে করে তারা বিপ্লব করছে। কিন্তু বাস্তবে তারা একটি অন্ধকার এবং আরও অস্থিরতার দিকে দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী শাসক নাগরিক সমাজকে অন্তঃসারশূন্য করে এবং তরুণদের নৈতিক বিকাশকে রুদ্ধ করে অজান্তেই ফ্যাসিস্ট দানবের ‘ধাত্রী’ হিসেবে কাজ করে।
৫.
স্বৈরাচার-পরবর্তী সময়ে মানুষ কেন আবার শৃঙ্খলিত হতে চায়, তার সবচেয়ে গভীর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের মনোবিজ্ঞানী এরিখ ফ্রম। তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ এসকেপ ফ্রম ফ্রিডম যুক্তি দেয় যে আধুনিক মানুষ স্বাধীনতা চায়, কিন্তু স্বাধীনতার সঙ্গে আসা একাকিত্ব, অনিশ্চয়তা এবং দায়িত্বের ভার সে সইতে পারে না।
অধিকাংশ মানুষ এই মানসিক চাপ সহ্য করার মতো শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী নয়। তাই তারা অনিশ্চিত স্বাধীনতার চেয়ে ‘নিশ্চিত পরাধীনতা’ এবং নিরাপত্তার উষ্ণতাকে বেছে নেয়। তারা মনে করে, নিজের সত্তাকে কোনো নেতার পায়ে বিসর্জন দেওয়াই হলো এই মহাজাগতিক একাকিত্ব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
দীর্ঘদিনের ‘ভয়ের রাজত্ব’ আর ‘অভিনয়ের সংস্কৃতি’ মানুষের ভেতর থেকে স্বকীয়তা মুছে ফেলে এক অদ্ভুত দাস-মানসিকতার জন্ম দেয়। রুশ সমাজবিজ্ঞানী আলেকসান্দার জিনোভিয়েভ এই বিকারগ্রস্ত মানুষের নাম দিয়েছিলেন ‘হোমো সোভিইটিকাস’।
এই মানুষেরা রাষ্ট্রকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে ঠিকই, কিন্তু আবার নিজের রুটি-রুজি বা নিরাপত্তার জন্য সেই রাষ্ট্রের ওপরই পরজীবীর মতো ঝুলে থাকে। এরা ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিতে ভয় পায়, নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে চায় না। ফলে যখন স্বৈরাচারের পতন ঘটে, তখন হঠাৎ করে পাওয়া স্বাধীনতার ভার এই ‘অভিভাবকহীন’ সমাজ আর সইতে পারে না।
সাদ্দাম-পরবর্তী ইরাক বা আরব বসন্তের ইতিহাস আমাদের সেই নির্মম সত্যই মনে করিয়ে দেয়—কেবল ‘লৌহমানব’ বা স্বৈরশাসককে গদি থেকে সরালেই মুক্তি আসে না। কারণ, দীর্ঘ পরাধীনতায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া সমাজ স্বাধীনতাকে উদ্যাপন করার বদলে উল্টো এক গভীর অস্তিত্বসংকট আর নৈরাজ্যের অতলে হারিয়ে যায়।
৬.
ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী গুস্তাভ ল্য বন তাঁর দ্য ক্রাউড: এ স্টাডি অব পপুলার মাইন্ড বইতে দেখিয়েছিলেন ভিড়ের মধ্যে ব্যক্তির বিবেক কীভাবে বিলুপ্ত হয়। সমষ্টিগত উন্মাদনার সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার অবলুপ্তি—যে নিরীহ ব্যক্তি একাকী কোনো অপরাধের কথা ভাবতে অক্ষম, সেই একই ব্যক্তি ভিড়ের উত্তেজনায় লাইব্রেরিও পুড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, ‘অ্যানোনিমিটি’ বা পরিচয়হীনতার সুযোগে সে মনে করে এটি তার ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, বরং তথাকথিত ‘জনগণের ইচ্ছা’র প্রতিফলন।
ল্য বন নিজে ছিলেন একজন রক্ষণশীল এবং গণতন্ত্রবিদ্বেষী এবং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে তাঁর এই ‘জনতা-ভীতি’র তত্ত্বকে কাজে লাগিয়েই হিটলার ও মুসোলিনির মতো একনায়কেরা তাঁদের প্রোপাগান্ডার নকশা তৈরি করেছিলেন। তাঁরা ল্য বনের কাছ থেকে শিখেছিলেন, জনতাকে যুক্তি দিয়ে নয় বরং আবেগ ও সম্মোহন দিয়ে বশ করা যায়।
কিন্তু ল্য বনের মতো জনতাকে কেবল ব্যবহারযোগ্য সত্তা ভাবলে ক্রান্তিকালীন সংকটের সমাধান পাওয়া যায় না। কেননা ফ্যাসিবাদ চায় মানুষ ‘মব’ বা উন্মত্ত জনতা হয়ে থাকুক। কিন্তু গণতন্ত্র চায় জনতা যেন ‘নাগরিক’ হয়ে ওঠে।
পুরোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান তাই গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দীর্ঘ উপন্যাসের শেষ অধ্যায় না–ও হতে পারে, বরং বিপজ্জনক অধ্যায়ের শুরুও হতে পারে। স্বৈরাচারের পতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুক্তি এনে দেয় না, বরং এটি নাগরিকদের মুক্তির ‘সুযোগ’ দেয় মাত্র।
মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান খণ্ডকালীন শিক্ষক, আইইউবি
মতামত লেখকের নিজস্ব